Infotech Ad Top new
Infotech ad post page Top

প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষাস্তরের প্রাথমিক ধাপ। মানসম্মত প্রাথমিকশিক্ষা আমাদের প্রথম চাওয়া। আর মানসম্মত শিক্ষা যার উপর নির্ভর করে তিনি হচ্ছেন শিক্ষক। আমরা জানি একজন শিক্ষকের নিয়মিত প্রধান কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা। কিন্তু প্রতিদিন শিক্ষকদের শিক্ষাদান ব্যতিত ডিপার্টমেন্ট এবং ডিপার্টমেন্টের বাইরেও অনেক ধরনের কাজও করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে মারত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নিয়মিত শিক্ষাদান। শিক্ষকগণও এ দায়িত্বপালন করতে গিয়ে শারীরিক আর্থিক, মানসিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথে হার মানতে হচ্ছে সময়ের কাছে। ফলে সুযোগ থাকেনা পাঠদানে তাদের শতভাগ মোনযোগী হওয়ার ।
একজন সহকারি শিক্ষক হিসাব করে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রায় ৪৫ ধরণের কাজ বের করেছেন। যেমন ১.জরিপ, ২.ভর্তি,৩.ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা,৪. বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ,৫.আশ্রয়ন পরিদর্শন,৬. স্বাস্থ্য সেবা, ৭.ভোটার তালিকা হালনাগাদ,৮.নির্বাচন অগ্রাধিকার, ৯.জেলে শুমারি,১০.টয়লেট শুমারি,১১.আদম শুমারি,১২.স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন,১৩.ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন,১৪.কাবিং কার্যক্রম,১৫.হোম ভিজিট,১৬.মা সমাবেশ,১৭.জন্ম নিবন্ধন,১৮.সমাপনী পরীক্ষা, ১৯.সাময়িক পরীক্ষা,২০.রেজাল্ট প্রস্তুত ও প্রদান, ২১.গৃহহীনদের তালিকা,২২.জাতীয় দিবস পালন,২৩.জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন,২৪.জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা, ২৫.মৌসুমি প্রতিযোগিতা, ২৬.শিল্প কলা একাডেমির প্রতিযোগিতা, ২৭.বৃক্ষ রোপন,২৮.মিড ডে মিল/ স্কুল ফিডিং বাস্তবায়ন , ২৯.শিক্ষাপোকরণ প্রস্তুত, ৩০.শিক্ষা মেলা,৩১.মীনা মেলায় অংশগ্রহণ,৩২.বই বিতরণ, ৩৩.উপবৃত্তির তালিকা প্রস্তুত,৩৪. রেজিস্টার, কার্ড,বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রমজান মাসে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ,৩৫.দৈনিক সমাবেশ, ৩৬.পিটিএ কমিটি গঠন,৩৭.এসএমসি গঠন,৩৮. স্লিপ কমিটি গঠন,৩৯. মেরামত ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন,৪০. সাব-ক্লাষ্টার প্রশিক্ষণ ৪১. ইউনিয়ন প্রাথমিক শিক্ষা স্থায়ী কমিটি ৪২. বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ৪৩. মৌসুমী প্রশিক্ষণ ৪৪. হোমভিজিট ৪৫.বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, এখানে ৪৫ ধরনের কাজের মধ্যে আমাদের ডিপার্টমেন্টের কাজের সংখ্যাই বেশি। বেশিরভাগই কো-কারিকুলাম এক্টিভেটিজ। এগুলোও পড়াশোনারই অংশ। আর ডিপার্টমেন্টের বাইরের কাজগুলোও আমাদের করতে হবে। আমরা সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারি হিসাবে এগুলো আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। একজন শিক্ষকের চেয়ে একজন উপজেলা কিংবা জেলা কর্মকর্তার আরও বেশি কাজ। তবে একজন শিক্ষকের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষাদান। তাকে যত বেশি শিক্ষাদান কার্যক্রমের মধ্যে রাখা যায় ততই মঙ্গল। তিনি আরও জানান একাজগুলোর মধ্যে সবই প্রতিদিনই করতে হয়না। প্রত্যেকটি কাজই বছরে দু-একবার করতে হয়।
তিনি বলেন, অনেক শিক্ষকের অভিযোগ প্রতিনিয়ত স্কুলে বিভিন্ন প্রকারের তথ্যে আপডেট রাখতে হয় এবং বলা মাত্রই উপজেলা কিংবা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হয়। এতে অনেক সময় নষ্ট হয়- এটাও একটা ভুল ধারণা। বিভিন্ন তথ্য মাসে একবার কী দুবার করে দিতে হয়। তবে এসব কর্মকাণ্ড বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক সম্পৃক্ত হয় না । প্রত্যেক বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষক সব সময় ব্যস্ত থাকে আবার কিছু শিক্ষক দিনের বেশিরভাগ সময়ই ক্লাসের বাইরের কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখে । এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক সহকারিদের মাঝে কাজগুলো বণ্টন করে দিতে হবে। তাহলে আর কিছু শিক্ষকের উপর বেশি চাপ পড়বে না। ফলে শিক্ষাদান এবং এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে চমৎকার সমন্বয় সাধিত হবে।
সূত্রঃ এডুকেশন বাংলা
Infotech Post Bottom Ad New
Author Details
ইনফোটেকলাইফ.কম এর তালিকা ভুক্ত একজন লেখক ও কলামিস্ট।
তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
No comments:
Post a Comment