এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ২০১৫ সালের পর থেকে বদলে গেছে নিয়োগ পদ্ধতি। আগে যেই এলাকার শিক্ষক সেই এলাকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলেও এখন আর তেমনটা সম্ভব নয়। শিক্ষকদের চাকরি করতে হচ্ছে দূর দূরান্তে। কিন্তু এমপিওভ’ক্ত শিক্ষকদের বেতন কাঠামোও উন্নত নয়। শুধুমাত্র মূল বেতন দেয় সরকার। নেই বাড়ি ভাড়া, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা। দেওয়া হয় না বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট্, বৈশাখি ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা।
ফলে দূর দূরান্তে চাকরি করে যে আয় হচ্ছে তা দিয়ে সুন্দরভাবে জীবন-জীবিকা চালানো খুবই কষ্টকর। তাই যদি বেসরকারি শিক্ষকদেরও বদলির কোনো ব্যবস্থা চালু থাকতো তাহলে শিক্ষকদের সুবিধার পাশাপাশি শিক্ষারও মান উন্নয়ন হতো। কোনো শিক্ষক দূরের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেলেও পরববর্তী সময়ে তার এলাকার প্রতিষ্ঠানে পদ খালি হলে তাকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বদলী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক ফোরামে প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বাহার বদলি কেন প্রয়োজন তা তুলে ধরেছেন। তিনি তার পোস্টে আটটি কারন উল্লেখ করেছেন। যা ইনফোটেকলাইফ.কম এর কাছেও যথার্থ মনে হয়েছে।
বদলি কেন প্রয়োজন?
১। নিবন্ধন পাশ ছাড়া ২০০৫ এর পর আর নিয়োগ চলেনা, ফলে বদলি প্রয়োজন।
২। ২০১৫ থেকে ইনডেক্স ধারীদের নিয়োগ বন্ধ থাকায়।
৩। এর পর থেকে ৩৫ বছরের বেশী কেউ নিয়োগ পাবেনা, ফলে কেউ যদি কমিটি বা অন্যকোন রোষানলে পড়ে চাকরি হারায় তবে কার ভিক্ষার ঝুলি ছাড়া উপায় থাকবেনা।
৪। ৩৫ বছরের পরে নিবন্ধন অকেজো হয়ে যাওয়ার ফলে নতুন করে নিয়োগের সুযোগ থাকবেনা। ফলে বদলি প্রয়োজন।
৫। এক প্রতিষ্ঠানে আজীবন থাকার ফলে চাকরিতে এক ঘেয়েমি এসে যায়। তাছাড়া পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গেও রেষারেষি দেখা দেয়।
৬।কথায় কথায় বরখাস্তের ছোবল থেকে বাঁচতে।
৭। বৃদ্ধ মা-বাবার খেদমতের জন্যও। কারণ অনেকে শতশত মাইল দূরে থাকে।
৮। একই চাকরি এবং একই ইনডেক্সে বারবার চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার (পূর্বের নিয়মে) কোন যৌক্তিকতা নেই।
সূত্রঃ এডুকেশন বাংলা
No comments:
Post a Comment