প্রাথমিক শিক্ষকের বাস্তবতা - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

 প্রাথমিক শিক্ষকের বাস্তবতা

প্রাথমিক শিক্ষকের বাস্তবতা

Share This

২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ তারিখে তদানিন্তন বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করিয়া ১জুন ২০০৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে বিনা কোঠায় সরকারি সকল নিয়মাবলী পালন করিয়া চাকুরী হওয়ার সুবাদে ডিমোশন লাভ করিয়া অদ্যাবধি একই ভাবে চলিয়া আসিতেছি। আমার ছেড়ে আশা পদে অসীন হন আমারই এক এইচ এস সি পাশ দেওয়া সহকারী শিক্ষক। সে আজ ১১তম গ্রেডে দাপটের সাথে প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরী করিতেছেন। আর আমি সরকারী বিধি মোতাবেক ৮ ও ১২ বছরে দুইটা টাইম স্কেল লইয়া এক গ্রেড নিচে ১২তম গ্রেডে তাহার চাইতে কম বেতনে চাকুরী করিয়া আসিতেছি। আর যদি কর্তৃপক্ষ করেস্পন্ডিং এ ক্রস না মারিয়া টিক মারিত তাহা হইলে তাহার বেতন হইত আমার দ্বিগুন। আমার এ দূঃখ আর লজ্জা রাখিবার জায়গা কোথাও আছে আপনারাই বলুন। আমার যদি পেটে জ্বালা না থাকতো তাহলে কবে এ পদ হইতে পদত্যাগ করিতাম। আগে ৮/১২/১৫ বছরে টাইম স্কেল হইত। সেই হিসাবে এবার আমার টাইম স্কেল পাওনা হইয়াছে। কিন্তু সে গুড়েওতো বালি মিশাইয়া দিয়াছেন ৮ম পে-স্কেল। এখন কেউ ১০ বছরে দুইটি আবার কেউ ১২ বছরে দুইটি টাইম স্কেল নিয়ে আমার মত চুপ করিয়া বসিয়া আছেন। আরও আছে একই পদে চাকুরী করিয়া কেউ দুইটা আবার কেউ তিনটা টাইম স্কেলে চাকুরী করছেন।  কেনো আগের মত ৮/১২/১৫ বছরে টাইম স্কেল চালু থাকিলে কি এমন মহা ভারত অশুদ্ধ হইত আপনারাই বলুন। অার যারা ৮ম পে-স্কেলে টাইম স্কেল নিতেছেন তারা আবার সিনিয়র চাকুরী ওয়ালাদের চেয়ে বেশী বেতন পাইতেছেন !! উদাহরন ২০০৩ এর জুনের যোগদানকারীদের চাইতে ২০০৩ এর জুলাইতে যোগদানকারীদের একটি বার্ষিক বর্ধিত বেতনের সম পরিমান টাকা মূল বেতনে বেশী। এটা কেমন নিয়ম বলুন ???? 
এরপর আবার প্র.শিদের সাথে সহ.শিক্ষকদের তিন ধাপ বেতন বৈষম্যের যন্ত্রনাতে আমিসহ সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষক ভুগিতেছেন। 
সব মিলে হয়বরল অবস্থা। আমি এর উত্তোরন চাই। আপনারা চাইলে আমার সাথে সহমত পোষন করিতে পারেন।
জানি এ সব দেখার কেউ নাই। তারপরও কেনো যে লিখি !!!!

লেখকঃ মোস্তফা জামাল উদ্দিন
শিক্ষক, খুলনা।


No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages