হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামাই ইসরায়েলের স্বার্থে সিরিয়াকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে! - উইকিলিকস - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামাই ইসরায়েলের স্বার্থে সিরিয়াকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে! - উইকিলিকস

হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামাই ইসরায়েলের স্বার্থে সিরিয়াকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে! - উইকিলিকস

Share This
সম্প্রতি উইকিলিকসের ফাঁস করা হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল থেকে জানা যাচ্ছে যে, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলকে সাহায্য করার সবোত্তম উপায় হিসেবে সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তন তথা সিরিয়ার বাসার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সিরিয়ায় যুদ্ধের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। (সুত্র: Newobserveronline.com)

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনেকগুলো আন-ক্লাসিফাইড ইমেইলের মধ্যে এই নথিটি(case number F-2014-20439, Doc No. C05794498) তিনি যখন ২০০৯ হতে ২০১৩ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন তখনকার তার প্রাইভেট ইমেল সাভার হতে পাওয়া যায়। অথচ মার্কিন রীতি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন পদে আসীন কোন ব্যক্তি রাষ্টীয় কোন বিষয়ে ব্যাক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করতে পারবেন না।

এই ইমেইল থেকে এটা পরিস্কার যে, একেবারে শুরুথেকেই সিরিয়ার বাসার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টি মার্কিন বিদেশ নীতির একটি অংশ ছিল এবং বিশেষভাবে তা করা জরুরী ছিল ইসরায়েলের স্বার্থে।



ইমেইল টিতে হিলারি বলেন, “The best way to help Israel deal with Iran’s growing nuclear capability is to help the people of Syria overthrow the regime of Bashar Assad,” ( অর্থ- ইরানের ক্রম প্রসারমান নিউক্লিয়ার সক্ষমতার দিকটি মাথায় রেখে ইসরায়েল সরকারকে সহায়তার সবচেয়ে ভাল উপায় হল  সিরিয়ার লোকদের বাসার আল আসাদের শাসন হতে মুক্ত হতে সাহায্য করা।)

যদিও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রিপোর্টে ইরানের পারমানবিক বোমার বিষয়টি একটি একটি ফাঁকা বুলি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল, তবুও হিলারি ক্লিন্টন ইসরায়েলের স্বার্থে সিরিয়াকে ধ্বংস করার জন্য এই মিথ্যাকে বারবার ব্যবহার করেছেন, ঠিক যেমনটি ইরাককে ধ্বংস করার জন্য সাবেক মার্কিন   প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ করেছিলেন।

ইরানের কাল্পনিক পারমানবিক কর্মসুচীকে হিলারি সিরিয়ার সংগে জুড়ে দিয়েছিলেন তার কারন ছিল, তিনি বলেছিলেন, ইরানের পারমানবিক কর্মসুচী ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যে পারমানবিক অস্ত্রের বিস্তারের বড় হুমকি।
তিনি বলেন যদি ইরান পারমানবিক অস্ত্র পেয়ে যায় তবে তা এক সময় সিরিয়ার( এবং ইসরায়েলের অন্যান্য প্রতিদন্দ্বী  সৌদি আরব ও মিশর ) হাতেও চলে যাবে, এবং এ সব কিছুই তখন ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।   তাইতো হিলারির কথা, ‘সিরিয়াকে ধ্বংস হতে হবে।’


Iran’s nuclear program and Syria’s civil war may seem unconnected, but they are. What Israeli military leaders really worry about — but cannot talk about — is losing their nuclear monopoly.

An Iranian nuclear weapons capability would not only end that nuclear monopoly but could also prompt other adversaries, like Saudi Arabia and Egypt, to go nuclear as well. The result would be a precarious nuclear balance in which Israel could not respond to provocations with conventional military strikes on Syria and Lebanon, as it can today.

If Iran were to reach the threshold of a nuclear weapons state, Tehran would find it much easier to call on its allies in Syria and Hezbollah to strike Israel, knowing that its nuclear weapons would serve as a deterrent to Israel responding against Iran itself.



হিলারি আরও বলেন, ইরান ও বাসার আল আসাদের সম্পর্ক কৌশলগত সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কই

ইরানকে ইসরায়েলের শক্তি ও নিরাপত্তাকে খাটো করে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। অবশ্য ক্লিন্টন এটা স্বীকার করেন যে, এটা করতে হবে কোন সরাসরি যুদ্ধের মাধ্যমে নয়, কারন বিগত ৩০ ভছরের মধ্যে ইরান ও ইসরায়েল সরাসরি যুদ্ধে জড়াইনি ইরান সুকৌশলে এই কাজটি সিরিয়ার বাসার আল আসাদ ও তার মদদপুষ্ট হামাস ও হিজবুল্লাহ মাধ্যমে প্রক্সি ওয়ার চালিয়েগেছে। তাই রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে বাসার আল আসাদ ও তার পরিবারকে সরিয়ে দেওয়াটাই মুল কাজ।

In short, the White House can ease the tension that has developed with Israel over Iran by doing the right thing in Syria.With his life and his family at risk, only the threat or use of force will change the Syrian dictator Bashar Assad’s mind.

হিলারির এই ইমেইল বার্তাটিই প্রমান করে, মধ্যপ্রাচ্যে আমরা আজ যে, ধ্বংস যজ্ঞ দেখছি আমেরিকাই তার মুল স্পন্সর । একটি মুল বিষষ যেটি মাথায় রাখতে হবে তা হল, লক্ষ লক্ষ রিফিউজি সমস্য যা আজ পুরো ইউরোপকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে গেছে তার মুলে রয়েছে আমেরিকা সরকারের নেওয়া এই পদক্ষেপ। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যত মানুষ রিফিউজি হয়েছে তা এযাবত কালে আর কখনো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। সিরিয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রান গেছে ২৫০ ০০০ জনের যা ছড়িয়ে পড়েছে সুদুর ইরাক পর্যন্ত। ক্লিনটন এবং ওবামা মদদপুষ্ট বিদ্রোহীরা ও তাদের উস্কে দেওয়া যুদ্ধের আগুন এজন্য তারা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। আমাদের বিশ্ববাসীর কি করুন নিয়তি বলেনে? যার ইসরায়েল ঘেষা নীতির কারনে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের জিবন ছিন্ন বিছিন্ন সেই মানুষটিকেই আমরা হয়তবা পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে যাচ্ছি। ক্লিন্টন তাই তো গর্ব ভরেই ঘোষনাদেন, তিনি মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলে, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে তিনি পরবতী স্তরে নিয়ে যাবেন। তার মানে প্রাইমারী লেভেলেই আজ পুরো পৃথিবী টালমাটাল আর না জানি পরবর্তী স্তরে কি অপেক্ষা করছে পুরো বিশ্ববাসীর জন্য। ইসরায়েল যে শুধু আজ মধ্য প্রাচ্যের কতগুলো দেশের জন্য হুমকি তা নয় বরং সারা পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের জন্য মহাক্রান্তি কালের আর এক নাম।  তার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিসের এবং কেন এত বন্ধুত্ব? না কি এর অন্তরালে রয়ে অন্য কোন হিসেব নিকাশ।  লোকচুক্ষর অন্তরালে বসে কারা নিয়ন্ত্রন করছে আমাদের এই ধরীত্রিকে? ......

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages