সভ্য দুনিয়ার অসভ্য মানুষ: ফিলিস্তিনিদের হত্যার সমর্থনে হাজারো ইসরায়িলী নাগরিকের রাস্তায় মিছিল ! - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

সভ্য দুনিয়ার অসভ্য মানুষ: ফিলিস্তিনিদের হত্যার সমর্থনে হাজারো ইসরায়িলী নাগরিকের রাস্তায় মিছিল !

সভ্য দুনিয়ার অসভ্য মানুষ: ফিলিস্তিনিদের হত্যার সমর্থনে হাজারো ইসরায়িলী নাগরিকের রাস্তায় মিছিল !

Share This
বর্তমান এ সভ্য জগতে মিছিল, মিটিং, সংগ্রাম তো সংবাদপত্র ও অনলাইন মিডিয়ার কল্যাণে অনেক দেখেছেন, অনেক পড়েছেন কিন্তু কখনো দেখেছেন পুরো একটি জাতিকে হত্যার পক্ষে আর একটি জাতিকে রাস্তায় নেমে মিছিল করতে? না আর আপনাকে সেদিন টির জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না বা হচ্ছে না।  পৃথিবীতে মনে হয় প্রথম এই কাজ টি করে দেখালো ইসরায়য়েল নামের এই ঘৃণিত জাতিটি।  আর সহিংসতার যথেষ্ট উদ্বেগ আর উস্কানিমূলক এ কাজকে তাদের সমর্থক পশ্চিমা মুলধারার গনমাধ্যমগুলো সেটাকে বেমালুম চেপে গেল।  আর আমাদের সবার প্রিয় সোসাল মিডিয়া ফেসবুক এক্ষেত্রে তো আর একধাপ এগিয়ে।! 

গত বছর অক্টোবরে ইসরায়িলী গর্ভমেন্ট ইসরায়িলীদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিন ও সমর্থকদের সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করে, অবশ্য এই অভিযোগ তাদের নতুন কিছু নয়।  পরে ঘটনাটি হয়তবা বিশ্ববাসী সকলেই সংবাদ পত্রের কল্যানে জানেন।  এই সহিংসতায় মারা যায় ৩৪ ইসরায়িলীর বিপরীতে ২৩০ জন ফিলিস্তিনি।  ক্রমপ্রসারমান এই সহিংসতাকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভুমিতে আন্তর্জাতিকভাবে ঘৃণিত ও নিন্দিত ইসরায়িলীদের একটি বর্বর অভিযান।  

অতি সম্প্রতি ইসরায়েল সরকারকে সহয়োগিতার অংশ হিসাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সহিংসতাকে উস্কে দেয় এমন কিছু কন্টে মুছে দেয় এবং এ অভিযোগে ইসরায়েল বেশ কিছু ফিলিস্তিনীকে আটক করে।  তাদের ভাষ্যমতে এসকল ব্যাক্ত ও তাদের কন্টেন্ট ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংকটকে আরও উস্কে দিতে পারত।  সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সহিংসতাকে উস্কেদেওয়ার অভিযোগে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪৫ জন ফিলিস্তিনীকে গ্রেফতার করেছে ইসরায়িলী কর্তৃপক্ষ।  ফেসবুক ও ইসরায়িলী কর্তৃপক্ষ একাট্টা হয়ে সোসাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়ানোর খোঁড়া অজুহাতে বেশ কিছু ফিলিস্তিন সাংবাদিক ও তাদের নিউজ এজেন্সির ফেসবুক একাউন্ট ব্যান করে দিয়েছে যাদের ছিল কয়েক লাখ ফলোয়ার এবং লক্ষ লক্ষ সমর্থক। 

যাই হোক এসকল সোসাল মিডিয়া ও কিছু পশ্চিমা মুল ধারার গণমাধ্যম ইসরায়েল সরকারের দোসর হয়ে ফিলিস্তিনদের বাক রোধ করতে পারলেও তারা তারা ফিলিস্তিনের প্রতি ইসরায়েলের হত্যাযঞ্জ রোধ করতে সামান্য ঘৃনাটুকু প্রকাশ করতেও ব্যর্থ হয়েছে।  ফিলিস্তিনিদের বিদ্বেষ ছড়ানোর দায়ে বেশ কিছু নিউজ এজেন্সির ফেসবুক পেজ প্রতিবাদ বন্ধ করা হলেও প্রায় দেখা যায়, ফিলিস্তিন বিরোধী পোস্ট, ছবি এবং র‌্যালিগুলোতে সরাসরি ফিলিস্তিনদের হত্যার আহবান করা হয়েছে সেখানে ব্যানারে লেখা হয়েছে, ‘Death to the whole Arab Nation’ অথবা ’Kill them all’ ইত্যাদি।  আর এগুলো এই ইসলায়েলে একেবারে কমন বা সাধারন একটি বিষয়। 
এমনকি ইসরায়েল এর নামি দামি একটি পত্রিকা Times of Israel ফিলিস্তিনীদের সাথে ইসরায়েলের আচরন সম্পর্কে বলতে গিয়ে একস্থানে উল্লেখ করেছে যখন হ্ত্যাও অনুমোদনযোগ্য ( “When Genocide is Permissible”)।  যদিও পরে এই পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, তবুও এটি দ্বারা সোসাল মিডিয়া, ইসরায়েল সরকারের ভয়ানক মানসিকার পরিচয় পাওয়া যায় আর পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সুকৌশলে আর দৃঢ়তার সাথে এগুলো এড়িয়ে চলে। 
বড় বড় বানিজ্যিক প্রেস এবং সোসাল মিডিয়া ফিলিস্তিনিদের হত্যার সমর্থনে করা ইসরায়েলী র‌্যালীগলোকে দেখেও না দেখার ভান করে।  এই বছরের শুরতে এপ্রিলে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবে বৃহৎ ফিলিস্তিন বিরোধী র‌্যালী অনূষ্ঠিত হয় যেখানে হাজারো মানুষ সকল আরব জাতির মৃত্যু ও ধ্বংস কামনা করে ইসলায়েল সরকারের নিকট আর্জি জানানো হয়।  আর ঐ র‌্যালিটি হয়েছিল একজন উচ্ছৃংখল ইহুদী সেনার সমর্থনে ‍যে পাষন্ড একজন আহও ও মৃত্যপ্রায় ফিলিস্তিনীকে কমান্ডো স্টাইলে মাথায় গুলি করে হত্যা করে।  


Elor Azaria নামের এই ঘাতক সেনার নামে ফিলিস্তিনি নরহত্যার অভিযোগ আনা হয় যেটি ঘটেছিল হেবরন শহরের মধ্যে ফিলিস্তিন শাসিত অঞ্চলে।  এই হেবরন শহরেই  ইসলায়েলী সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে একটি অবৈধ ইহুদি বসতি আছে এবং যেখানে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অবৈধভাবে ইসরায়েলী ডিফেন্স ফোর্সও (IDF) রয়েছে।  এটিই এখানে ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাতকে বার উস্কে দেয়।   তেলআবিবের ঐ র‌্যালীতে প্রায় ২০০০ ইসরায়েলী এবং কতিপয় ইসরায়েলী পপ আইকন তারকারাও অংশ নেয় যার মধ্যে ছিলেন গায়ক Maor Edri, Moshik Afia এবং Amos Elgali, আরও ছিলেন র‌্যাপার Subliminal সহ অনেকে।  তাদের স্লোগান ছিল “Elor [the soldier] is a hero” এবং ঐ র‌্যালীতে স্বভাবতই ঐ পাষন্ড সেনার মুক্তি দাবি করা হয়েছিল।  আগত এ র‌্যালীতে এক মহিলার হাতে একটি ব্যানার ছিল যাতে স্পষ্ট করে লেখা ছিল “Kill them all.” এটি কী সহিংসতাকে আরও উস্কে দেওয়া হলনা।  

একজন ইহুদী সাংবাদিক তিনি খোদ এই র‌্যালী বা মিছিল সম্পর্কে তার মন্তব্যে লিখেছেন ‘ আর অ্ন্য কিছুর থেকে এটি তার নিকট মানুষ হত্যার উৎসব বলেই মনে হয়েছে’।  ঐ র‌্যালীতে সহিংসতা ও শত্রুতার বাতাবরন তৈরী হওয়া সত্তেও ইসরায়েল সরকার ও তাদের সমর্থক পশ্চিমা মিডিয়া এগুলোকে উপক্ষা করে গেছে ।  কিন্তু ইহদী হত্যার আহবানে যদি ফিলিস্তিনি সমর্থকগন তখন রাস্তায় নামত তখন সন্ত্রাস দমনের নামে তাদের প্রতি কিরুপ আচরণ করা হত তা হয়তবা আর বিশ্ববাসীকে বলে বোঝাতে হবে না।  এ কোন অসাম্যের পৃথিবীতে আমরা বাস করছি।? প্রতি দিন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্য করে ইসরায়েলী সেনারা আর সেটিকে নাম দেওয়া হয় War against terrorism কিন্ত আত্ম রক্ষার্থে একজন ফিলিস্তিনী ইসরায়েলী সেনার দিকে একটি পাথর ছুড়লে তারা হয় সন্ত্রাসী।  এটিকে কি বলবেন আপনি? .......................... জানি এ প্রশ্নের উত্তর কেউ দিবে না................... !
সুত্র: ইন্টারনেট

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages