বিশ্বনবীর আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করন ও তৎকালীন হিন্দু রাজার ইসলাম গ্রহণ : এক অজানা অধ্যায় - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

বিশ্বনবীর আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করন ও তৎকালীন হিন্দু রাজার ইসলাম গ্রহণ :   এক অজানা অধ্যায়

বিশ্বনবীর আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করন ও তৎকালীন হিন্দু রাজার ইসলাম গ্রহণ : এক অজানা অধ্যায়

Share This
এই পৃথিবী ও বিশ্বজগতে আমরা মানববকুল মহান সৃষ্টিকর্তাকে বিভিন্ন নামে ডাকি ও স্মরণ করি।  ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া এক মহামানব যিনি পৃথিবীর সকল মানবকে একসুত্রের গাথার জন্য এই সৃষ্টিজগতের নিয়ন্তা ও সবকিছুর নিয়ামক মহান অাল্লাহ রাব্বুল আলামীন কতৃক আদিষ্ট হয়ে যে ধর্মের প্রচার করেন তাই ইসলাম ধর্ম নামে পরিচিত।  মুলত ইসলাম শুধু একটি ধর্ম নয় এটি একটি সম্পুর্ন জীবন বিধান।  আর মহাগ্রন্থ আল-কোরআন হল সকল ধর্মগ্রন্থের(Latest Edition)সর্বশেষ সংস্করণ।  পৃথিবীর সকল মানুষ একই স্রষ্টার সৃষ্টি হয়েও কেন তাকে ভিন্ন নামে ডাকা হয়? আর তাই হয়তবা মহান সৃষ্টিকর্তা ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে নিজেকে স্বরপে প্রকাশ করলেন।  আর তাঁরই বার্তা বাহক আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে তিনি সৃষ্টি করেছেন, রহমাতুল্লীল আলামিন অর্থাৎ সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য রহমতস্বরুপ।  যাঁরাই এই চরম ও পরম সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছে তারাই এসেছে ইসলামের ছায়াতলে।  আজ পশ্চিমা বিশ্ব বিজ্ঞানের উপর সাওয়ার হয়ে সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও ফিলিস্তিন ও কাশ্মিরে যে মুসলিম নিধনে মেতে উঠেছে, ইসলামকে একটি অকার্যকর ধর্ম হিসেবে প্রমানের চেষ্টা করছে খোদ সেই সকল দেশের মানুষের মাঝে ইসলাম গ্রহণের হিডিক পড়েগেছে।  আজ ইসলাম ধর্মই পৃথিবীর সবচেযে ক্রমপ্রসারমান ধর্ম।   চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার যে ঘটনা টি আজ আধুনিক বিজ্ঞান স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে, সেই চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার ঘটনাকে নিয়ে আজ এক ইতিহাঁসের কথা আপনাদের শোনাব যা আজও হয়ত অনেকরই অজানা।  

চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার ঘটনা: 

হযরত মুহাম্মাদ (স) ইসলাম প্রচারের এক পর্যায়ে তাঁর নিজ চাচা আবূ জেহেল কে ইসলাম কবুল করতে বললে, তিনি ও তার অনুসারিরা উল্টো মহানীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। আবু জাহলের নেতৃত্বে একদল মূর্তিপূজারী ও ইহুদি জানায় যে, মুহাম্মাদ (সা.) যে আল্লাহর রাসূল তা তারা মেনে নেবে যদি তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখাতে পারেন।  তখন রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করে আঙ্গুলের ইশারা করলে ওই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটে।  আজ থেকে ১৪৩৮ চন্দ্র বছর আগে এই মাসে (১৪ই জ্বিলহজ্ব) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র মোজেযার প্রকাশ হিসেবে তাঁর আঙ্গুলের ইশারায় পূর্ণ চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। 

পবিত্র কুরআনের সুরা আল-কামারের প্রথম দুই আয়াতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে: "কিয়ামত আসন্ন এবং চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। তারা কোনো নিদর্শন সরাসরি দেখলেও মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘এতো চিরাচরিত জাদু’। "

ওই আরব মুশরিকরা এই মোজেজা অস্বীকার করে একে জাদু বলে অভিহিত করে। কিন্তু উপস্থিত ইহুদিরা চাঁদ দুই ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেইইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।  কারণ, ওই ইহুদিরা তাওরাতে পড়েছিল যে হযরত মূসা (আ.)’র উত্তরসূরি হযরত ইউশা (আ.)’র জন্য মহান আল্লাহ চাঁদ ও সূর্যকে স্থির করে রেখেছিলেন।

রাসূল (সা.) চাঁদকে এত স্পষ্টভাবে দুই টুকরা করেন যে ওই দুই টুকরার ব্যবধানের মধ্যে হেরা পর্বত দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু আবু জাহল বলে ওঠে, “তিনি নজরবন্দি করেছেন।  যেসব লোক বিদেশে গেছে তারা ফিরে এসে সমর্থন জানালে তখন বুঝব।” বিদেশ থেকে আসা লোকেরা দেশে ফিরে এসে এ ঘটনার সত্যতাকে সমর্থন করলেও আবু জাহল বলে, “ তিনি গোটা পৃথিবীর সব লোককে নজরবন্দী করেছেন।"

ভারতীয় হিন্দু রাজার ইসলাম ধর্ম কবুল:

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত মালাবার রাজ্যের (বর্তমান কেরালা অঞ্চল) ততকালীন রাজা চক্রবর্তী ফারমাস (চেরামান পিরুমেল) আকাশে চাঁদ দুই টুকরো হয়ে যাওয়ার ওই অলৌকিক ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখেছিলেন। যখন তিনি জানতে পারেন যে আরব দেশে শেষ নবীর আবির্ভাব ঘটেছে ও রাসূল (সা.) ই চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছেন, তখন তিনি মক্কায় গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।  ভারতের ইতিহাস গ্রন্থ ‘তারিখে ফেরেশতা’য় ওই ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে।  চেরামানের নামে ভারতের কেরালা রাজ্যে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারীদের মাধ্যমে তোলা ছবিতেও চাঁদের মধ্যে গভীর ফাটলের চিহ্ন বা দাগ দেখা গেছে এবং এ থেকে স্পষ্ট হয়, কোনো এক সময় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।  ভারতীয় রাজা যে ওই ঘটনা দেখেছিলেন তার লিখিত বিবরণের একটি প্রাচীন দলিল বর্তমানে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে।  ওই দলিলে ভারতীয় সেই রাজার ভ্রমণের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। ওই রাজা ভারতে ফেরার পথে ইয়েমেনে মারা যান।

১৯৬৯ সালে এ্যাপোলো -১১ নামের একটি মার্কিন মহাকাশযানে মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরন করে। এর আগেও চাঁদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার জন্য এ্যাপোলো-১০ নামের রকেট চাঁদে পাঠানো হয় চাঁদের সর্বাধিক ছবি তুলে আনার জন্য। ঐ সময়ে চাঁদের যেই ছবি এলো, এতে দেখা যায় চাঁদের বুকচিরে একটি ফাঁটল বিদ্যমান। ফাঁটলটি লম্বায় ২০০ [কিঃমিঃ] এর ও বেশি এবং চওড়ায় ৩ [কিঃমিঃ]

বিজ্ঞানীগণ এর নাম দিয়েছেন " Ariadaeus Rille "। এই "হাইজিনাস রিলী"র মাটিও পাঁথর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করলেন যে, এই ভাঙ্গা ও জোড়া লাগার ঘটনাটি ১৪০০ বছরেরও পুরোনো।  এই ঘটনায় অভিভূত হয়ে একাধিক বিজ্ঞানী ইসলান ধর্ম গ্রহন করেন।  এর মধ্যে চাঁদে প্রথম অবতরণকারী "এডউইন এলড্রিন" ও অন্যতম।" আল্লাহু আকবার!

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages