পোস্ট এরিয়া বা পোস্ট এডিটর পরিচিতি ও এর ব্যাখ্যা! - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

পোস্ট এরিয়া বা পোস্ট এডিটর পরিচিতি  ও এর ব্যাখ্যা!

পোস্ট এরিয়া বা পোস্ট এডিটর পরিচিতি ও এর ব্যাখ্যা!

Share This
সবাইকে ইনফোটেকলাইফ.কম এর পক্ষ থেকে একরাশ শুভেচ্ছা জা্নাই। আশা করি সকলে ভালই আছেন। দ্বিতীয় পর্বে কথা দিয়ে ছিলাম ব্লগার পোস্ট এডিটরের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করব। সেই দায়বদ্ধতা নিয়ে আজ লিখতে বসলাম। আজকের পর্বে আমরা কিভাবে ব্লগার পোস্ট এডিটর ব্যবহার করে কিভাবে ব্লগিং করতে হয় তা জানা ও বুঝার চেষ্টা করব। ভাল ব্লগার হতে হলে আমাদের এসব CMS(Content Management System) সম্পর্কে জানতে হবে। কারন ব্লগার(Blogger) হল পৃথিবী বিখ্যাত Online Giant গুগল(Google) এর নিজস্ব সম্পদ। যা লক্ষ লক্ষ নতুন ব্লগারদের পথে দিশা দেখাচ্ছে।
Blogger logo

এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি সম্পুর্ন ফ্রি। একজন নতুন উঠতি ব্লগার গাটের টাকা খরচ না করেই তার যাত্রা শুর করতে পারে। এর পর সে যখন নিজেকে দক্ষকরে তোলে তখন সে তার নিজের প্রয়োজনেই চলে যায় অন্য প্লাটফরম যেমন ওয়ার্ডপ্রেস(WordPress),জুমলা(Joomla) ই্ত্যাদিতে। যাক সেসব কথা অনেক বক বক্ করে ফেললাম। আসুন কাজের কথায় আসি। আসুন আজ আমরা ব্লাগার পোস্ট এডিটরের খুটিনাটি জানি । পোস্ট এডিটর বিশ্লেষণ করলে আমরা এর কাজ ও উদ্দেশ্যে অনুযায়ী দু’টি অংশে ভাগ করা যায়। যখাঃ-

A) লেখা ও সম্পাদনা অংশ (Writing and Editing)
B)  এস.ই.ও ‍এবং প্রকাশনা অংশ(SEO and Publishing) 

নিচের চি্ত্রটি ভালভাবে লক্ষ্য করুন এবং এর প্রতিটি অপশন ও কাজ বুঝার জন্য এর লেখা অংশে কোন কিছু লিখুন আর ইচ্ছেমত নিচের লাল নম্বর চিহ্নিত অংশ সমুহ ঘাটা-ঘাটি করুন। আর বুঝার চেষ্টা করুন কোনটির কি কাজ। আজকের আলোচনায় (A) অপশনটি নিয়ে আলোচনা করব। এ অংশে আমরা মোটা মুটি ২৩ টি অংশ দেখতে পাচ্ছি।

ব্লগার পোস্ট এডিটর
১. Post Title:  উপরের ছবিতে লাল চিহ্নিত নং স্থানটিতে আপনি যে পোস্টটি লিখতে চান তার শিরোনাম লিখুন। যেমন আমার আজকের লেখার শিরোনামটি খেয়াল করুন এটি এর মা্ধ্যমেই লেখা।

২. Writing Mode: একজন দক্ষ ব্লগার তার লেখার পয়োজনে লেখার ভেতরে লিংকিং(ইমেইজ ও টেক্সট লিংকিং) করতে তার প্র্গ্রামিং জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে লেখাকে আরও স্টাইলিশ, তথ্য নির্ভর করে তোলেন। যদিও নিচের দুটি অপশন যে যার  ক্ষেত্রে স্বাধীন বা ততটা নির্ভরশীল নয়। তথাপি একজন দক্ষ ব্লগারকে তার স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য গুগল দুটি অপশনই দিয়েছে। আপনি যখন একজন ভাল ব্লগার হয়ে উঠবেন তখন আপনি সম্ভবতঃ নিজের প্রযোজনেই অ্ন্যান্য সি.এম.এস সমুহে যাবেন, তখন দেখবেন তারাও আপনার লেখার জন্য দুটি অপশন রেখেছে। আসুন এবার অপশন ‍দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।
  • Compose: এই মোডে লেখার জন্য আপনার কোন প্রগ্রামিং জ্ঞান না থাকলেও চলবে। আপনি সাদামাটাভাবে মাইক্রোসফট্ ওয়ার্ড() বা আমরা যেটাকে এম এস ওয়ার্ড বলি সেটা জানলেই চলবে। আর যারা মাইক্রোসফট্ ওয়ার্ড জানেন এবং লিখাটা একটু স্পীডি লিখতে পারেন।  তারা লিখে নিন আপনি ব্লগিং এর শতকরা ৭০ ভাগ শিখে ফেলেছেন। আর বাকীটুকু সারা জীবন ধরে শিখবেন। যেহেতু শেখার কোন শেষ নেই তাই একথার অবতারনা করলাম। আপনি ও চেষ্টা চালিয়ে যান ধৈর্য নিয়ে, সফলতা আপনার দার গোড়ায়।
  • HTML Mode: আমি আগেই বলেছি উপরোক্ত কম্পোজ মুডে যদি আপনি স্বার্থক ভাবে লিখতে পারেন তবে আপনি ধরে নিন ব্লগিং এর শতকরা ৭০ ভাগ শিখে ফেলেছেন। একজন ভাল ও দক্ষ ব্লগার হতে হলে আপনাকে ন্যুনতম প্রগ্রামিং জ্ঞান থাকা দরকার। কিন্তু সেটা বাধ্যতামুলক নয়। আমি অনেক ব্লগার দেখেছি যারা প্রগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই সুন্দর ব্লগিং করেন।  সুতরাং ব্লগিং করতে থাকুন আর পাশা-পাশি প্রগ্রামিং শিখতে থাকুন। কোন অর্থ খরচ না করেও আপনি একজন দক্ষ প্রগ্রামার হতে পারবেন। কারন আজকের এ ডিজিটাল যুগে অনলাইন আপনার এক্ষেত্রে বড় সহায়ক হতে পারে। চলে যান এই সাইটে আর মনের আনন্দে শিখতে থাকুন HTML(Hyper Text Markup Language), CSS( Cascade Style Sheet), জাভা আর পিএইচপি এর মত ল্যাংগুয়েজ এবং মেতে উঠুন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
৩. Undo/Redo and Font: যারা এমএস ওয়ার্ড জানেন, তাদের বলে দেওয়ার দরকার নেই যে ৩ নং অপশনটির মানে কি তথাপি যারা নতুন তাদের উদ্দেশ্যেই বলি এ তিনটি আইকনের মধ্যে প্রথম দু’টি দ্বারা  আপনি চাইলে মুছে ফেলা লেখা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে অথবা পুর্বে র অবস্থায় ফেরত যেতে পারবেন। আর তৃতীয় আইকন টি দ্বারা আপনার পছন্দমত ফন্ট বাছায় করে লিখতে পারবেন। তবে আর দেরী কেন শুর করে দিন লেখা আর পড়তে থাকুন আমার টিউটোরিয়ালগুলো।

৪. Font Size: চিত্রে লাল কলি দ্বারা চিহ্নিত ৪ নং অপশন টি দ্বারা আপনি অতি সহজে যে আকারের ফন্টে আপনা কন্টেন্ট বা পোস্ট লিখতে চান তার সাইজ বা আকার নির্ধারন করতে পারবেন।
৫. Writing Format: এটি লেখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপুর্ন অপশন। লেখার ক্ষেত্রে মুল টাইটেল(যেমন আমার এ লেখার উপরের মুল শিরোনাম) ছাড়াও লেখার ভেতরে অনেক সময় পয়েন্টে আউট করতে হয় বা লেখার মাঝেও অনেক সময় অনেক সাব-টাইটেল ব্যবহার করতে হয়। সেটি করার জন্য আপনি ৫নং চিহ্নিত অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি করার জন্য আপনি লেখার মধ্যে একটি শিরোনাম দিন আর সে অংশটুকু সিলেক্ট করে এ অপশন থেকে Normal মোড বাদে আর বাকী তিনটির যে কোন একটি সিলেক্ট করুন, সব বুঝতে পারবেন। এটি সাধারনত ডিফল্ট অবস্থায় Normal মোডে থাকে। 
৬. Bold: এ অপশনটি লেখার মাঝে কোন লাইন বা শব্দের কোন অংশকে হাইলাইট করে মোটা করে উপস্থাপন করতে ব্যবহার করতে পারেনে।
৭. Italic: কোন শব্দ, বাক্য, লাইন কে বাকাভাবে বা হেলানভাবে উপস্থাপন করতে এটি ব্যবহার করা হয়।
৮. Underline: কোন লাইন, বাক্য, শব্দের নীচে দাগদিয়ে তার গুরত্ব প্রকাশ করতে এ অপশনটি ব্যবহার করা হয়।
৯. Strikethrough: এব্যাপারটি একটু উদাহরণ দিয়ে বুঝালে আপনি ভাল বুঝতে পারবেন। মনে করুন আপনাকে প্রশ্নের নির্দেশনায় চারটি বিকল্প উত্তরের মধ্যে ভুল উত্তরগুলো কেটে দিতে বলা হল। সেক্ষেত্রে আপনি নিশ্টয় নিচের মত করে লিখবেন।
উদাহরণ: প্রশ্ন: বাংলাদেশের রাজধানী কোনটি?
ক) খুলনা     খ) চট্টগ্রাম   গ) রাজশাহী     ঘ) ঢাকা
আমি খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী  এগুলো কেটে দিয়েছি উপরোক্ত অপশনটি ব্যবহার করে। আপনি ও চেষ্টা করুন।
১০. Text Colour:  এ অপশনটির মাধ্যমে আপনি লেখার ফন্টের রং পরিবর্তন করতে পারবেন। যেমন আমার লেখার ১০ নং পয়েন্টটির রং পরিবর্তন করেছি। আপনি ও যে লেখার রং পরিবর্তন করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন তার পর উপরের ১০ নং চিহ্নিত অপশনে ক্লিক করে আপনা পছন্দের রং সিলেক্ট করুন আর দেখুন আপনার লেখার রং পরিবর্তন হয়ে গেছে।
১১.Text Background colour: আপনার লেখা টেক্সটির ব্যাকগ্রাউন্ড কালার পরিবর্তন করতে এটি ব্যবহৃত হয়। নিজে নিজেই একবার চেষ্টা করে দেখুন না। যেমনটি আমি ১১ নং এর ইংরেজি অংশটুকু করেছি।
১২. Text or Image linking: নতুন বা আনকোরা ব্লগারদের টেক্স এবং ইমেইজ লিংকিং এর সুবিধা দিতে Compose মোডে এটির অবতারনা করা হয়েছে। একজন দক্ষ ব্লগার এটি HTML মোড দিয়ে সম্পাদন করেন বা করতে পারেন। একটি বিষয় না বললেই নয় তা হল আমরা আজ যা কিছু আলোচনা করছি তার সবটুকুই Compose মোডের মধ্যে পড়ে।
১৩. Inserting Image: আপনার লেখা পোস্ট কে আর ও বেশি নান্দনিক, আরও বেশি তথ্যবহুল এবং  সুস্পষ্ট করার জন্য আপনার লেখার ভিতর অনেক সময় কোন ছবি অন্তভুক্ত করা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি এই অপশনটি ব্যবহার করে আপনার লেখায় যে কোন ছবি বা ইমেইজ ব্যবহার করতে পারেন। যেমন আমার এই টিউটোরিয়ালটির প্রয়োজনে আমি উপরে ছবির ব্যবহার করেছি।
১৪. Embeding Vedio: আজকের এই মাল্টিমিডিয়ার যুগে লেখার মধ্যে শুধু ছবি বা থাকাই যথেষ্ট নয়। মনে করি আপনি কোন ভ্রমন কাহিনী বা প্রতিবেদন লিখছেন। সে ক্ষেত্রে আপনা ভিডিও ক্যামেরায় ধারন করা ভিডিওটি যদি আপনার লেখার শেষে বা মাঝে  আপলোড করে দেন সেক্ষেত্রে আপনার লেখার গ্রহনযোগ্যতা বেড়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
এ অপশন সমুহ নিয়ে পরবতীতে বিস্তারিত আলোচনা করার ওয়াদা রইল।
১৫. Creating post summary at homepage: এ অপশনটিকে জাম্প ব্রেক বলে । আপনি একটি পোস্ট লিখলেন কিন্তু হোম পেইজে তো আর সবটুকু পোস্ট দেখা যাবে না। দেখা যাবে আংশিক আকারে() আপনি আপনার লেখার কতটুকু অংশ হোম পেইজে দেখাতে বা ডিসপ্লে করাতে চান, সেই অংশের শেষে মাউসের কার্সার ক্লিক করুন আর উপরের অপশনটিতে ক্লিক করুন। আর লেখা শেষে পাবলিশি করার পর হোম পেইজে গিয়ে মজা দেখুন।
১৬. Alignment: আমি মনে করি এই নম্বরের ব্যাখ্যা নিস্প্রোয়োজন। লেখাকে সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজানোতে এ কান জুডি নেই। পরীক্ষা করে দেখার জন্য আপনার লেখার কিছু বা সমস্ত অংশ সিলেক্ট করে উপরের অপশনটিতে ক্লিক করুন আর মজা দেখুন।
১৭. Numbered List: লেখার ভেতার কোন নাম্বারিং করতে এ অপশনটি ব্যবহৃত হয়।
১৮. Bullet List: লেখার ভিতর কোন পয়েন্ট কে নাম্বার ছাড়াই পয়েন্ট আউট করতে এ অপশন টি ব্যবহৃত হয়। সিলেক্ট করে কোন অংশকে নাম্বারিং করতে নিজেই একবার চেষ্টা করে দেখুন।
১৯. Quote: লেখার ভেতর কোন মনীষি বা কার উদ্বিৃতি সরাসরি তুলে ধরতে অপশনটি ব্যবহার করতে হয়।
২০. Removing Text Format: লেখার মাঝে অনেক সময় কারো কোন লেখা হুবহু তুলে ধরতে আমরা এ লেখাটুকুকে সিলেক্ট করে কপি করার পর আমাদের লেখার মাঝে এনে পেস্ট করে দিই। সে ক্ষেত্রে শুধ লেখাটুকুই কপি হয় না সাথে ঐ লেখার, ফন্ট ফরম্যাট ও কপি অবস্থায় চলে আসে। যা আপনার লেখার সাথ নাও মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে উক্ত লেখাটি সিলেক্ট করে উপরোক্ত অপশনটিতে ক্লিক করলেই মজাটা বুঝতে পারবেন।  
২১. Spelling Check: যারা ইংরেজিতে ব্লগিং করেন তারা এটি দিয়ে তার লেখার অনাকাঙ্খিত বানান ভুল থাকলে তা থেকে অপশনটির মা্ধ্যমে উ্দ্ধার পেতে পারেন।
২২. Translating: নিধারিত ভাষায় অনুবাদের কাজে ব্যবহৃত হয়।
২৩. Writing space: লেখার মাঝে অনেক সময় স্পেস নিতে্ এটির ব্যবহার করা হয়। তবে এটি ব্যবহার খুবই সীমিত পরিসরে হয়।
অনেক ম্যারাথন টাইপের লেখা লিখে ফেললাম। আপনাদের উপকারে আসলেই তাতে আমার স্বার্থকতা। দয়া করে কমেন্ট অপশনে গিয়ে কমেন্ট করবেন। আপনাদের একটি ভাল কমেন্ট আমাকে উৎসাহ যোগাবে আপনাদের ভাল কিছু শেখানোর । আজ এপর্যন্তই বিদায় খোদা হাফেজ !!!!!!!!

1 comment:

Goljar- The Patroblogger said...

Welcome to the comment system

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages