প্রসঙ্গঃ কেজি স্কুল - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

প্রসঙ্গঃ কেজি স্কুল

প্রসঙ্গঃ কেজি স্কুল

Share This
বর্তমান সময়ে দেখাযাচ্ছে শহরে, বন্দরে,গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে কিন্ডার গার্টেন স্কুল 


যেগুলো পরিচালিত হচ্ছে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অত্যধিক লাভের আশায়। এগুলো পরিচালনা করছে কিছু বেকার ছেলেমেয়ে যারা পড়াশো না করে ভাল চাকরি না পেয়ে স্কুল খুলে বসে আছে ।এই সব স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নামমাত্র সম্মানিতে ।যারা বেকার সমস্যায় নিমজ্জিত তারা চোখ কান বন্ধ করে কাজ করতে থাকে । তাদেরকে বছরের শুরুতে ছাত্র টার্গেট দেওয়া হয়।  এদের নির্ধারিত কোনো ক্যাচমেন্টের বাধা  না থাকায় চাকরি ধরে রাখতে এরা বিভিন্ন ক্যাচমেন্ট থেকে ছাত্র সংগ্রহ করে ।যেসব ছাত্র বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন হয়ে ওঠে বেশির ভাগ তাদেরকেই এরা আয়ত্ব করে নেয় যার ফলে অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান  ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।এদিকে ছাত্র ধরে রাখার জন্য পরিক্ষায় অধিক নম্বর দেখিয়ে অভিভাবকদেরকে ধোকা দেয়া হচ্ছে। পাঠ্য বই এর চেয়ে অনেক বেশি অতিরিক্ত বই থাকার কারণে শিশুরা পড়ার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললেও অভিভাবক ও টিচারের চাপে তা পড়তে হচ্ছে যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই শিশুগুলি বড় হলে স্বেচ্ছাচারী হয়ে পড়ছে। কেজি স্কুলের একটি ছাত্রের পিছনে ৩/৪টা প্রাইভেট টিচার দিতে হচ্ছে। যেখানে সরকারি ্স্কুলে পড়াশোনা করলে কোন প্রাইভেট টিচারের অনুমোদন নেই।অপরদিকে টিচারদের কোনো রকম ট্রেনিং না থাকার কারণে তারা সনাতন পদ্ধতিতেই বা ইচ্ছেমতো বা গাইড বই ব্যাবহার করে শিশুদের বুদ্ধির বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করছে কারন এইসব টিচাররা তারা যা জানে বা পড়ায় তার চেয়ে অন্যরকম হলে নম্বর দেয়না অথবা যে গাইড বেধে দিয়েছে তার ব্যতিক্রম লিখলেও নম্বর দেয়না। তাই শিশুরা সব সময় আতঙ্কিত। এমন অবস্থায় এইসকল কেজি স্কুলের চাপ থেকে কোমলমতি শিশুরা বাঁচার জন্য টিচার যা বলে তাই করে।এভাবেই কেজি স্কুলগুলি কৌশলে অভিভাবক সহ সমাজকে তথা সরকারকে ফাঁকি দিয়ে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগীতা করে চলছে ।আমি মনেকরি এই সকল গজিয়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমুহকে সরকারের নিয়ম নীতির আওতায় আনা প্রয়োজন।তা না হলে জাতি একসময় অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।

লেখকঃ নাজমা আনোয়ার

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages