এই সালটি হয়তবা কোন বড় সড় ও গভীর সত্য উন্মোচনের বছর হতে চলেছে যা হয়ত বা ভবিষ্যত পৃথিবীি নিমার্নে রাখবে একটি বিশাল ভুমিকা রাখবে। এটি এমন একটি বছর যা পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিবিদদের মাঝে প্লেগ আকারে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি প্রতারণাকে ক্রমাগতভাবে আমাদের সামনে প্রকাশ করতে থাকবে। উইকিলিকস্ এর টুইটার পেজের দিকে চোখ বুলাল হয়তবা আপনার নিজের চোখকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। সুপরিচিত অ্যাসাঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত গ্রুপ একটি গোপন নথি প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতিবিদ, সরকার, কর্পোরেশন, ব্যাংক, এবং আরো অনেক কিছু কিভাবে দুর্নীতিতে আর অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে।
একটি পোস্টে উইকিলিকস লিখেছে, হিলারি ক্লিনটন একটি কোম্পানীর নিকট হতে নিয়মিত অর্থ নিতেন, তিনি একসময় এই কোম্পানীতে ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং এই কোম্পানীটির আইএসএর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। উইকিলিক্স হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে লিখছে, “অবশ্য হিলারি ক্লিনটন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সাথে সরাসরি অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না, এটি অনেক দিন যাবত ধরে চলে আসছে, আমেরিকা বিশ্ব রাজনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া সত্ত্বেও তারা এর পেছনে মদদ ও সহায়তা দিয়ে আসছে ”
উইকিলিক্স আরও বলছে, “ভোট সামনে রেখে কোন প্রার্থীকে বা অন্য কাউকে
কিংবা কোন রাজনৈতিক দল বা দলসমুহকে প্রশ্নের সামনে দাড় করিয়ে দেওয়া আমাদের
উদ্দেশ্য নয়, বরং সন্ত্রাস দমনের নামে সারা পৃথিবীতে কি ঘটছে তা সম্পর্কে
জনগনকে জানানো”
আপনি চাইলে এই সকল ডকুমেন্ট দেখেনিতে পারেন-
এখানে ক্লিক করুন
প্রকাশিত নথিগুলোতে দেখা যায় যে, ফ্রান্সের বিখ্যাত সিমেন্ট কোম্পানী লাফার্জ সিরিয়ায় তাদের সিমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের জন্য আইএসকে অর্থ দিয়েছিল। এছাড়া এতে আরও দেখা যায় যে, এই কোম্পানীটি অনেক দিন ধরেই আইএস এর নিকট হতে তেল কিনছিল। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ন বিষয় হল এই যে, এই লাফার্জ এর সাথে হিলারি ক্লিনটনের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তারা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে নিয়মিত Donate করে থাকে। এবং হিলারি নিজেও একসময় অর্থাৎ ১৯৮০ সালের দিকে এই লাফার্জ কোম্পানীর ডিরেক্টর ছিলেন। ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের সাথে সম্পর্কের এটি একটি বড় উদাহরন। ব্যবসার স্বার্থে রাজনীতি বিদগন যে দালালী খান এটা তার বড় উদহরণ। আর তাইতো Theodore Roosevelt বলেছিলেন, এই সকল রাজনীতিবিদ নির্বাচিত নয় এরা নির্ধারিত, এরা বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থা গড়ে তোলার জন্য এক সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।।
উিইকিলিক্স ছাড়াও ফ্রান্সের একটি মিডিয়া আউটলেট LE Monde জানান দিচ্ছে যে, লাফার্জ যে শুধু আইএসকে অর্থ দিয়েছে তাই নয় তারা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় সিরিয়ার অন্যান্য গ্রপগুলোকে অর্থ দিয়ে আসছিল। কিন্তু কে জানে এই লাফার্জের শুধু ব্যাবসায়িক স্বার্থ ছাড়া আরও কোন উদ্দেশ্য ছিল বা আছে কি না। যেমন- Canary article points out ,সিরিয়ান বিরোধী গ্রুপগুলোর দ্বারা পরিচালিত একটি স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম Zaman al-Wasl দ্বারা পরিচালিত তদন্ত এই সত্য প্রকাশ করে দেয় যে, লাজার্জ অনেক আগে থেকেই আইএ্স এর নিকট হতে চোরা পথে তেল কিনছিল।। আপনারা চাইলে Zaman al-Wasl র দ্বারা পরিচালিত আসল তদন্ত প্রতিবেদন টি এখান হতে দেখে নিতে পারেন।
”সন্ত্রাসীরা তো আমেরিকারই তৈরী!”।
কানাডার বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও লেখক এবং অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সম্মানিত অধ্যাপক Dr. Michel Chossudovsky যিনি at the International Conference on the New World Order এ বলেছিলেন, “Terrorist are Made In America.”
তিনি জোর দিয়ে আরও বলেছিলেন যে, আমরা দুষ্কৃতিকারীদের একটি বৈশ্বিক পর্য়ায়ে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়েছি এবং বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা ও তার মিত্ররা এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যার পুরোটা না হলেও অনেকটাই সাজানো।। তিনি আরও বলেন যে, যে যুদ্ধ আমরা দেখছি তার অনেকটাই সাজানো এবং এটা একটি মিথ্যা ভিত্তির উপর দাড়িয়ে সারা পৃথিবীকে গ্রাস করতে চলেছে।। এটা আমাদের আরও বলে যে, আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব এখন একটা কাল্পনিক শত্রুর পেছনে তাড়া করছে, যেখানে ইসলামিক স্টেট(আইএস) প্রকৃতপক্ষে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমা মিলিটারী জোট ও মার্কিন মিত্র জোটের অর্থায়নে ও তাদের সমর্থনে পরিচালিত।
এখন সারাবিশ্বব্যাপী আইএস যে সব কার্যক্রম চালাচ্ছে, ইসলামের ধোয়া তুলে তারা যে সকল নজির আমাদের সামনে তুলে ধরছে। একবার ভাবুনতো এতে বর্তমান পৃথিবীতে আধ্যাত্বিকতার বলে বলীয়ান একমাত্র শান্তির ধর্ম ইসলাম এতে কতখানি সুবিধা পাচ্ছে? সমান্য পরিমানেও না। ধর্মের ছদ্মাবরণে কৃত এসব কর্মের না আছে ইসলামী সমর্থন না আছে কোন স্বার্থ বরং এসকল কাজ করে একটি এলিট শ্রেনী সারা পৃথিবীতে মানুষের মাঝে ইসলামরে নামে ভীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্বের নামে সারা পৃথিবীকে করায়ত্ব করে তাদের অর্থ ও ব্যবসায়িক স্বার্থকে আড়াল করে চলেছে। সন্ত্রাসবাদের ধুয়া তুলে সারা পৃথিবীকে একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার(New World Order) দিকে নিতে সদা সচেষ্ট।
Dr. Michel Chossudovsky আরও বলেন, ” আমাদের তথা কথিত বর্তমান সভ্য পৃথিবী মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে, কিন্তু কথাটি তখনই সত্যে পরিনত হয় যখন বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা তাদের নিজেদের স্বাার্থে তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে তৈরী করে।” কেননা এদের কোন মুসলিম সমাজই স্বীকৃতি দেয় না, কেননা ইসলাম হল আধ্যাত্মিকার বলে বলীয়ান একটি শান্তির ধর্ম যার মাঝে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। সারা পৃথিবীর সচেতন জনগন একবার ভাবুনতো! ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া,লেবাননের মার্কেটে, মসজিদে, হাসপাতালে যখন গুলি ও বিস্ফোরণ ঘটানো হয় তখন অস্ত্রের কোন অভাব হয়না কারন এখানে আমেরিকা ও তার মিত্ররা নিজেরাই এসব গ্রুপগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করে। আর স্বাধীকার আন্দোলনে রক্ত দিতে থাকা বর্ববর ইসরায়েলি সেনাদের অত্যাচারে, ধর্ষনে, বাস্তুভিটা হারা হয়ে প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে যখন কোন ফিলিস্তিনি অস্ত্র না পেয়ে পাথর তাদের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে তখন তাঁরা হয় সন্ত্রাসী কারন এখানে তাদের মিত্র ইসরায়েলের স্বার্থ জড়িত আছে। অন্যায় আর ভারসাম্যহীন বর্তমান পৃথিবীতে আমরা এর থেকে ভাল আর কি দেখতে পারি? তাহলে আমরা নিশ্চয় বুঝেছি যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে এখন যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে তার পুরোটায় সাজানো, একটি বড় মিথ্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে এক বিশাল অপরাধ যার জন্য আমেরিকা ও মিত্রদের কারও সামনে কোন প্রকার জবাবদিহি করতে হবে না। কারন আন্তজার্তিক আদালত, জাতিসংঘ এসব বিশ্বমোড়লদেরই তৈরী এবং তারাই তাদের ডমিনেট করে। ইরাক যুদ্ধে দেড়লাখ ইরাকী হত্যা করে আমেরিকার দোসর বৃটেনের সাবেক প্রধান মন্ত্রি টনি ব্লেয়ার এই তো কিছু দিন আগে বলেছেন, যে ইরাক যুদ্ধ ছিল একটি বড় ভুল। জানি এ যুদ্ধের জন্য তাকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে না, কারন তাকে কাঠগড়ায় তুলতে হলে সর্বপ্রথম আমেরিকাকেই কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। এবার আসুন একুট অন্য দিকে তাকায় বর্তমান পৃথিবীতে যে আইএস এত তাড়াতাড়ি মিডিয়া কভারেজ পেল তার উৎপত্তি কোথায় তা নিয়ে একটু আলোচনা করি।
আইএস এর অর্থ যোগানদাতা কে?
একটি বিষয় পরিস্কার হওয়া দরকার যে, আইএস বা আলকায়েদা যাই বলি এরা কিন্তু কোন স্বাধীন সংগঠন নয়, এগুলো পশ্চিামাদের দ্বারা চালিত এবং এর পোছনে অকাট্য প্রমানও আপনি ইন্টারনেট সার্চ দিলে পাবেন। এখন কথা হল এখন তাহলে অনেক মানুষ এগুলো বিশ্বাস করে না? এর কারন এর মুল বিষয়গুলো এখনো সাধারন মানুয়ের অজানা। তাছাড়া উগ্র ও বিভ্রান্ত দেশপ্রেম এই সত্যগুলো জনসম্মুখে আসতে বাধা দেয়।
Dr. Michel Chossudovsky এ বিষয়টিকে একটি সুন্দর উদাহরনের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন, শুনুন তার মুখ হতেই-
They are sponsored, and they are sponsored by the United States and its allies. It is documented that prior to 2011, there was a process of recruitment of mujahideen to fight in Syria, and this was coordinated by NATO and the Turkish high command. This report is confirmed by Israeli news sources and unequivocally, we are dealing with a state-sponsorship of terrorism, the recruitment of mercenaries, the training and the financing of terrorism. (source)
দীর্ঘ সময় ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন Vladimir Putin বার বারই বলে আসছেন, পশ্চিমা মিলিটারী জোটগুলো আইএসকে অর্থ ও মদদ দিয়ে যাচ্ছে।। এর মাধ্যমে তারা সরাসরি কোন ভুখন্ডে প্রবেশ না করেও প্রক্সি ওয়ার এ অংশ নিচ্ছে। শুধু মাত্র তথ্য প্রামান ও দলিল নয়, এই সব বিষয়গুলো ভাল করে যাদের জানার কথা এমন পদের যা আসীন ছিলেন তাদের মৌখিক স্বীকৃতিও এসবের বড় উদাহরণ হিসাবে কাজে আসতে পারে। বৃটেনের সাবেক ফরেন সেক্রেটারী Robin Cook প্রকাশ্যেই বলেছিলেন,
The truth is, there is no Islamic army or terrorist group called Al-Qaeda, and any informed intelligence officer knows this. But, there is a propaganda campaign to make the public believe in the presence of an intensified entity representing the ‘devil’ only in order to drive TV watchers to accept a unified international leadership for a war against terrorism. The country behind this propaganda is the United States. (source)
পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান জার্নালিস্ট এর এই লেখাটি একবার পড়ে আসুন তাহলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে- The True Origins Of ISIS & The War On Terror
No comments:
Post a Comment