অনলাইন আয়ের এপথ সে পথ! আপনি কোন পথে যাবেন? পর্ব- ১ - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

অনলাইন আয়ের এপথ সে পথ! আপনি কোন পথে যাবেন? পর্ব- ১

অনলাইন আয়ের এপথ সে পথ! আপনি কোন পথে যাবেন? পর্ব- ১

Share This
সকলকে ইনফোটেক লাইফ.কমের পক্ষ থেকে একরাশ শুভেচ্ছা। সারাদিন বিদ্যালয়ে চাকুরী করে রাতে আপনাদের সময় দিতে যদিও ক্লান্তি লাগে তবুও তো আপনাদের মায়া ছাড়তে পারিনা। তাই ফিরে ফিরে আসি আপনাদের মাঝে। তো এবার কাজের কথায় আসি আমি আপনাদের ওয়াদা করে ছিলাম। আপনাদের অনলাইনে আয় শেখাব। আপনাদের অনুপ্রেরনা ও মন্তব্য পেলে আমি এই টিউটোরিয়াল টিকে পর্ব আকারে লিখতে চাই। তাই আমার অনুরোধ লিখা পড়ে নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার মুল্যবান মন্তব্য অবশ্যই লিখতে ভুলবেন না। 

আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের বাসিন্দা। আর এই সুবাদে আমরা আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে চাই। আর প্রতিযোগীতায় যদি আমরা পিছিয়ে থাকি তাহলে আমাদের সফলতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। একারনে আজ বাংলাদেশের অনেকেই অনলাইনে আয়ের দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবনতাটা একটু বেশি। 

অনলাইনে আয় করতে কী কী দরকার?

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা সবাই কম বেশি ইন্টারনেট থেকে আয় করি বা করতে চাই কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারনে করতে পারি না। অথবা শুরু করার কিছুদিন পরেই আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় ধর্য্যহারা হয়ে আবার নতুন কিছু শুরু করি। এভাবে করেই যাচ্ছি কিন্তু কোন ভাবেই সফল হতে পারছি না। আপনি যদি প্রতিষ্ঠিত কোন ফ্রিলান্সার এর কাছে জান তাহলে দেখবেন তিনিও সবকিছু আগে থেকে জেনেই শুরু করেছিলেন এমন নয়। তিনিও আস্তে আস্তে শিখেছেন এবং প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির কারনেই আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
আমরা বেশিরভাগ সময় যেটা করি। কোন বন্ধু বা বড় ভাইয়ের ফ্রিলান্সিং এ সফলতা দেখে প্রচণ্ড ভাবে অনুপ্রেরিত হই এবং সে কিভাবে কাজ করে, তার কত দিন লেগেছে এতদূর আসতে সেই বিষয়টি খেয়াল করি না। অনেক উত্তেজিত হয়ে কাজ শুরু করি কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পরেই মনে হয় ধুরর আমাকে দিয়ে এইসব সম্ভব নয়। আবার নতুন কোন আয়ের উপায় খুঁজতে বসে যাই। আসলে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ফলাফল শূন্য।


ফ্রিলান্সিং শুরু করতে হলে আপনার ভিতরে ৫ টি জিনিস থাকতে হবে।
  • একটি মাঝারি মানের ল্যাপটপ(ডেস্কটপ হলেও চলবে)
  • ইন্টারনেট কানেকশন সহ একটি মডেম ও
  • প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি
  • অধ্যবসায়
  • রুটিন করে কাজ করা।

এই ৫ জিনিস যদি আপনার ভিতর থাকে তাহলে আমি  গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে আপনি সফল হবেন নিশ্চিত।

আপনি কিভাবে ফ্রিলান্সিং শুরু করবেন?

আমার মতে, প্রথমেই বড় কোন প্ল্যাটফর্ম এ না গিয়ে ছোট কোন প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন। যেমন, আপনি micro job, mini job, PTC ইত্যাদিতে কাজ করুন। প্রতিদিন ১০-৩০ মিনিট নিয়মিত সময় দিন এবং আপনার দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যান। দিন অথবা রাতের নির্দিষ্ট একটি সময় বেছে নিন। যেই সময়টুকু আপনি ফ্রিলান্সিং এর কাজে ব্যয় করবেন। যেই কাজ শুরু করেছেন সেটি ঠিক ভাবে করুন।


এক্ষেত্রে আপনাকে একটি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সেটি হল। আপনি কাজ করার সময় অনেক সাইট এ লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখবেন যেখানে আপনাকে অনেক ভাল আয়ের কথা বলবে। কিন্তু সাবধান কোন ভাবেই ভুল পথে পা দিবেন না। আপনি যেখানে শুরু করেছেন শুধু মাত্র সেটাতেই কাজ করে যান।
আপনি কোন ভাবেই রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবেন না। কিন্তু বড় হওয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছাই আপনাকে একদিন বড় করে তুলবে। মনে করুন আপনি একটি PTC সাইট এ কাজ শুরু করলেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ভাল একটি PTC সাইট খুজে বের করতে হবে।

কিভাবে একটি ভাল PTC সাইট খুজে বের করবেন?

ভাল PTC সাইট খুজে পেতে আপনি আপনার পরিচিত বড় ভাই যারা PTC থেকে ভাল আয় করে বা অনেক দিন PTC তে কাজ করেন তাদের কাছে সাহায্য নিতে পারেন। আবার গুগলকেও ব্যবহার করতে পারেন।

সাইট টি সম্পর্কে ভাল ভাবে জানুন। অনলাইন এ রিভিউ দেখুন। ডোমেইন কত সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সেটি দেখুন। তাদের নিজেস্ব ফোরাম ভিজিট করুন। তাহলে তাদের পেমেন্ট নিয়ে কোন সমস্যা আছে কিনা টা আপনি বুঝতে পারবেন। এর মধ্যে সবথেকে ভাল উপায় হল অন্য কারো থেকে সাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যিনি ঐ সাইট এ কাজ করেছেন।

অনলাইনের আয় কীভাবে হাতে পাবেন? 

[ অনলাইনে ইনকাম করলেন কিন্তু টাকা ঘরে উঠাতে পারলেন না, তাতে কোন লাভ হল কী? তাই নীচের তিনটি/চারটি পেমেন্ট সিস্টেমে একাউন্ট খুলে ফেলুন চট জলদি অনলাইনে আয়ের প্রথম পর্বে আপনাদের এটুকুই কাজ]

অনলাইনে কাজ করার আগে আমাদের প্রয়োজন অনলাইন Payment Gateway গুলোতে সাইন আপ বা একাউন্ট খুলে রাখা। কারন অনেক Work place রয়েছে যেখানে সাইন আপ বা জয়েন করার সময়েই তারা পেমেন্ট সিস্টেম Add করতে বলে। তাই আমার অভিমত হল অনলাইনে কাজ শুর করার জন্য মন যখন স্থির করেই ফেলেছেন, সেখানে আর দেরি না করে এখনই একাউন্ট খুলে ফেলূন  এই পেমেন্ট গেটওয়ে গুলোতে। তো আসুন দেখি বাংলাদেশের জন্য Working Platform গুলো কোন কোন পেমেন্ট গেটওয়েতে পে করে থাকে সেগুলো এক নজরে।

পেপাল: পেপাল পেমেন্ট গেটওয়ে হিসাবে সবার উপরে। পৃথিবীর বড় বড় ওয়ার্কিং প্লাটফরমগুলো পেপালকেই তাদের প্রথম গেটওয়ে হিসেবে বেছে নিয়েছেন।  কিন্তু আমরা জানি পে-পাল বাংলাাদেশ সাপোর্ট করে না। এজন্য বাংলাদেশের যারা কর্নধার তাদের বিমুখভাব কেই দায়ী করা য়ায়। যাইহোক কিছুটা স্বস্তির খবর হলো সম্প্রতি পেপাল বাংলাদেশকে বিজনেস একাউন্ট খোলার পারমিশন দিয়েছে। তবে বিজনেস একাউন্ট থেকে লেনদেন করলে ফিস বাবদ তারা একটু বেশিই অর্থ কেটে রাখে। তবে এখন অনেকে ই ভিন্ন পন্থায় পারসোনাল পেপাল একাইন্ট খুলে তা ব্যবহার করছেন। আমিও এই পন্থায় Personal Paypal খুলে ব্যবহার করে থাকি। এ পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। তো আর দেরী কিসের এখনই দেরী না করে খুলে ফেলূন একটি পেপাল বিজনেস একাউন্ট। একাউন্ট খুলতে এই খানে ক্লিক করুন।অথবা নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

Paypal একাউন্ট করতে এই ছবির উপর ক্লিক করুন

আপিনি চাইলে একটি পে-পাল পারসোনাল একাউন্ট খুলে নিতে পারেন। তবে তা খুব সাবধানতার সাথে মেইনটেইন করতে হবে  নইলে তা হারাতে বেশি সময় লাগবেনা। আমি কিভাবে একটি পারসোনাল পে-পাল একাউন্ট এর মালিক তা জানতে এই পোস্টটি পড়ুন। এই স্টেপগুলো অনুসরন করলে আপনিও একটি পে-পাল একাউন্ট হোল্ডার হতে পারবেন।
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডPayment Gateway হিসেব দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে Payoneer ।  আর অনলাইনের বড় বড় মার্কেট প্লেস এবং ক্লায়েন্টগন তারা তাদের পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে Paypal না হয় Payoneer প্রথম পছন্দ হিসেবে এগিয়ে রাখেন। খুশির খবর হল বাংলাদেশে Payoneer সাপোর্ট করে। অনেকেই Paypal এর টাকা বাংলাদেশে আনার জন্য Payoneer Master Card ব্যবহার করে থাকেন। কারন USA বা Australia র এড্রেস ব্যবহার করে আপনি যদি একটি  Payoneer একাউন্ট করেন তবে আপনি ঐ দেশের একটি ব্যাংক এড্রেস পাবেন।

http://share.payoneer-affiliates.com/a/clk/1sFgSs
যা আপনি Paypal একাউন্টে ব্যবহার করতে পারবেন। ভয় নেই এই এড্রেস আপনি পে-পাল ভেরিফাই হয়ে গেলে তখন চেন্জ করে তা আবার নিজের মূল ঠিকানায় পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।   কিভাবে তা আমি আমার ইংরেজী ব্লগে সুন্দর করে দেখিয়ে ছি। আপনি চাইলে দেখে দেখে হাতে কলমে আস্তে ধীরে এই কাজটি সম্পন্ন করুন। দেখবেন আপনিও পারবেন। না পারলে আমার স্বরনাপন্ন হবেন। আমি যথা সাধ্য চেষ্টাকরব।

পায়জা(Payza Payment) পেমেন্ট: বাংলাদেশে সাপোর্ট করে এমন আর একটি পেমেন্ট সিস্টেম হল Payza Payment System । আপনি যদি একজন নতুন অনলাইনার হন এবং আপনার কাজের যদি কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তবে আপনার প্রথম কাজ হবে PTC সাইটগুলোতে কাজ করা। সেক্ষেত্রে Payza -ই হতে পারে আপনার অনলাইনের টাকা হাতে পাওয়ার মোক্ষম হাতিয়ার। এই পেমেন্ট সিস্টেম এর সবচেয়ে বড় সুবিধা আপনার কষ্টার্জিত আয় লোকাল ব্যাংক একাউন্ট হতে উত্তোলন করতে পারবেন। পায়জা একাউন্ট খুলতে এখানে ক্লিক করুন। অথবা নিচের ছবির উপর ক্লিক করুন।

https://secure.payza.com/?8NFJJ%2bkZCGzmJzW9FW08e5qjlRtIWQ1TR4BomHcLEgw%3d


স্ক্রীল একাউন্ট (Skrill account) বাংলাদেশে আর একটি পেমেন্ট সিস্টেমে যেটার নাম বার বার চলে আসে তা হল Skrill আপনি এটিতে একটি একাউন্ট করে রাখুন। একাউন্ট করতে এই খানে ক্লিক করুন।
https://account.skrill.com/signup?rid=40081282
আজ আপাতত এই টুকুই, অনলাইনের আয় হাতে পেতে এই প্রথমেই আপনারা এই পেমেন্ট সিস্টেম বা অনলাইন ব্যাংকগুলোতে একাউন্ট খোলা জরুরী। অনলাইন আয়ের দ্বিতীয় ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল পড়ুন নিচের লিংকে ক্লিক করে-
পিটিসি সাইট হতে অনলাইন আয় করার পুর্নাঙ্গ গাইড লাইন: পর্ব -২

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages