আসসালামু আলাইকুম। আজ ইতোমধ্যেই একটি পোষ্ট দিয়েছে। ভাবছিলাম দু, এক দিনের মধ্যে আর কোন পোষ্ট দেব না। কিন্তু বিটিভিতে প্রচারিত আমার প্রিয় ম্যাগাজিন "ইত্যাদি" দেখার পর মনের আবেগকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। তাইতো এলোমেলো ভাবে দু,একটি কথা লেখার জন্য ল্যাপু অন করে ব্লগে লগিন করলাম।
ইত্যাদি দেখে হরহামেশাই আমি আবেগিত হই। তবে আজকের ব্যাপারটি ভিন্ন। আজকের অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ দিকে বরাবরের মত প্রচার ভিমুখ মানুষের প্রতিবেদন দেখানো হলো। যেখানে ছিলেন খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, জন দরদী, শিক্ষানুরাগী জনাব ড. কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ।
 |
ইত্যাদি অনুষ্ঠানের স্ক্রীন সর্টে ডা. কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ |
আসলে আমি জনাব কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ সাহেবের পক্ষে প্রচারে নামছি না। প্রচার যা করার শ্রদ্ধেয় হানিফ সংকেত করেছেন এবং নিশ্চয়ই আপনারা তা দেখেছেন। আমি জাষ্ট একটি হিসেব করব। আমাদের ৬৪ টি জেলা রয়েছে। আমার ধারনা প্রত্যেক জেলাতেই জনাব কুতুবউদ্দিন আহম্মেদের মত বা তার চেয়েও বেশী ভিত্তশালী ১০/২০ জন করে ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে যদি একজন ভিত্তশালী শ্রদ্ধেয় ড. কুতুবউদ্দিন আহম্মেদের মত দায়িত্ব নেয় তাহলে আমাদের উন্নত দেশের তালিকায় নাম লেখাতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকেও দিন রাত এই লক্ষ্যে পরিশ্রম করতে হবে না।
দেখলাম শ্রদ্ধেয় ড. কুতুব সাহেব অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ খরচে প্রয়োজনমত মেরামত, বিনির্মান, কক্ষ সম্প্রসারণ, বেঞ্চ সরবরাহ, আইসিটি সাপোর্ট দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ নিজ তহবিল থেকে। এভাবে যদি ৬৪ জেলার ৬৪ জন কুতুবউদ্দিন সাহেব দিতেন তাহলে ৬৪x৫০=৩২০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হত। ড. কুতুবউদ্দিন সাহেব অর্ধশতাধিক হত দরিদ্র মানুষের থাকার জন্য ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি হত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার খরচসহ তাদের পরিবারকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে তার সহায়তায় বেশ কয়েকাটি পরিবারের ছেলে মেয়েরা কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে আবার কেউ ডাক্তারী/ইঞ্জিনিয়ারী অধ্যয়নরত। তো এবার প্লিজ হিসেব মিলিয়ে দেখুন উনার মত যদি প্রতি জেলাতে একজন করে দায়িত্ব নেয় তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপনের সোনার বাংলা এবং তার সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তব রুপ নিতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
আমার এই লেখার মাধ্যমে নয়, ড. কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ- এর কর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে আসুন যে যেখানে আছি সে সেখান থেকে যেটুকু পারি দেশের সেবায় লেগে যাই। প্রতিদিন সাধ্যমত, হোক সে সামান্য, দেশের কল্যানে কাজ করি। সবাইতো জানি "ছোট ছোট বালু কনা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল।" আপনার আমার জন্য যা সামান্য অনেকের জন্য তা অসামান্য।
আমার মনের কথাগুলো কতটুকু গুছিয়ে বলতে পেরেছি জানিনা। তবে আমার বিশ্বাস_ সম্মানিত পাঠক, আপনারা আমার চেয়ে অধিক প্রজ্ঞাবান তাই আমি গুছিয়ে না বলতে পারলেও আপনারা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন।
লেখার মধ্যে কোন ভুল-ভ্রান্তি পরিলক্ষিত হলে ক্ষমা করে দিবেন। আমার এ লেখা কাউকে হেয় বা ছোট করার জন্য নয়। তারপরও যদি কেউ সামান্যতম আঘাত পেয়ে থাকেন ক্ষমা করে দিবেন।
 |
প্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেত এবং শ্রদ্ধেয় ড. কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ |
সবশেষে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি জনাব ড. কুতুবউদ্দিন সাহেবের কাছে তার কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে তাকে নিয়ে লেখার জন্য। এত বড় মনের মানুষ তিনি, অবশ্যই আমার মত মানুষকে ক্ষমা করে দিবেন। এই প্রত্যাশায় আজকের মত বিদায়...............
No comments:
Post a Comment