Homeটিপস এন্ড ট্রিকস্বিজ্ঞান ও বিষ্ময়কানের সম্মুখভাগে পেঁয়াজ রাখুন আর দেখুন রাতারাতি পেঁয়াজের কেরামতি! কানের ব্যথা ও দেহের অন্যান্য সমস্যায় পেঁয়াজ হতে পারে এক অব্যর্থ মহৌষধ !
কানের সম্মুখভাগে পেঁয়াজ রাখুন আর দেখুন রাতারাতি পেঁয়াজের কেরামতি! কানের ব্যথা ও দেহের অন্যান্য সমস্যায় পেঁয়াজ হতে পারে এক অব্যর্থ মহৌষধ !
সবাইকে ইনফোটেকলাইফ.কম এর পক্ষ থেকে একরাশ শুভেচ্ছা। আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। উপরের শিরোনাম দেখেই বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয় আজ পোস্ট কি সম্পর্কে। হ্যা প্রিয় পাঠক, পেঁয়াজ বাঙালীর রসনা-বিলাসের একটি গুরুত্ব পুর্ন অংশ। এছাড়া অনেকেই পেঁয়াজকে অনেকভাবে গ্রহন করে থাকেন। যেমন, পানতা ভাতে পেঁয়াজ, রান্নায় পেঁয়াজ, বিভিন্ন ভাজা-ভাজিতে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ ছাড়া বাঙালীর রসনা-বিলাস যেন একেবারে অতৃপ্ত থেকে যায়। কিন্তু ঔষধ হিসেবে পেঁয়াজ! সেটা আবার কি আশ্চর্যের কথা। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার করতে গিয়ে প্রকৃতির দিকে ঝুকে পড়ছেন। তারা আমাদের দেহের সমস্যায় পেয়াজের নানামুখী কার্যকারিতা আবিস্কার করেছেন। পেঁয়াজ আমাদের ঠান্ডা, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা নিরাময়ে এক মহৌষধ হতে যাচ্ছে। তবে তা কিভাবে? হ্যাঁ সেটায় বলতে আজ আমার এ লিখার অবতারনা। পেয়াজকে কানের মধ্যে স্থাপন অথবা মোজার মাধ্যমে স্থাপন করে আপনি বিভিন্ন শারীরীক সমস্যা হতে মুক্ত হতে পারেন। তাও আবার কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়ায়।
কানের ব্যাথায় পেঁয়াজের ব্যবহার !
আপনার যদি প্রচন্ড কানের ব্যাথা থেকে থাকে তবে আর কোন টেনশন নিয়েন না। আজকেই চেষ্টা করে দেখুন হাজার বছরের পুরোনো এই কৌশলটি। একটি পেঁয়াজ নিন, একে কেটে দুভাগ করুন, এর মাঝখানের অংশটুকু আলতো করে বের করে আনুন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আপনার কানের সম্মুখ ভাগে এবার পেঁয়াজের ভেতরের অংশটুক গুঁজে রেখে দিন। সকালে জেগে আপনি নিশ্চিত আরাম পাবেন। এর ফলে আপনার কানে শক্ত কানুখি থাকলে তা নরম হবে এবং আপনি অনায়াসে কোন কিছু দিয়ে তা বের করে আনতে পারবেন। তাছাড়া এটি আপনার কানে জ্বালা-পোড়া থাকলে তা থেকে রাতা-রাতি মুক্তি দেবে।
পায়ের পাতায় পেয়াজের ব্যবহার
অনেক ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ এখন পেয়াজ পায়ের পাতায় ব্যবহার করতে বলছেন, যে টা আমাদের মানব জাতি চীনা চিচিৎসা পদ্ধতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। চীনারই সর্বপ্রথম আবি্স্কার করেন যে, আমাদের যত শিরা-উপশিরার শেষ প্রান্ত পায়ের পাতায় গিয়ে মিলেছে। তাই তারা পায়ের পাতাকে শরীরের যে কোন অংশে পৌছানোর প্রবেশ মুখ হিসেবে বিবেচনা করে যা আমাদের সংবহন তন্ত্রের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যখনই একটি পেঁয়াজের কাটা অংশ পায়ের
পাতায় জড়িয়ে রাখা হয়, তখন তা আমাদের সংবহন তন্ত্রের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত দেহে, দেহের সমস্ত জিবানু ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। কারন এতে প্রকৃতিগত ভাবেই রয়েছে, এন্টি-ব্যাক্টেরিয়া এবং এন্টি-ভাইরাল এজেন্ট। তাছাড়া এর ফসফরিক এসিড যা আমাদের চোখে জলের উদ্রেক করে তা আমাদে রক্তপ্রবাহে মিশে গিয়ে রক্তকে বিশুদ্ধ করে। যার ফলে আপনি হয়ে ওঠেন সুস্থ্য ও আপনার উন্নত স্বাস্থ্য আপনাকে যে কোন প্রকার জীবানুর সংক্রমন হতে মুক্ত হতে এবং জ্বালা-পোড়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আপনার শরীরকে রসদ যোগান দেয়।
তো বন্ধুরা আমরা জানলাম পেয়াজকে পায়ের পাতায় এবং কানে ব্যবহার করলে আমরা এসকল সমস্যা চির মুক্ত হতে পারি। এর সবচেয়ে বড় ও সুবিধাজনক দিক হল এটি সস্তা , একেবারে প্রাকৃতিক একটি উপায় যা আপনি হাসপাতাল বা চিকিৎসালয়ে না গিয়েও বাড়িতে আরামে স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। অব্শ্য অসুবিধা একটু খানি আছে সেটি হল ভোটকা গন্ধ, এটুকু সামাল দিতে পারলে আপনাকে আর পায় কে! হা ! হা ! হা! হা !
আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে একনজর দেখে নিন এই ভিডিও টি । তবে কষ্ট করে দেখবেন কারন এটি ইংরেজিতে
ইনফোটেকলাইফ.কম এর তালিকা ভুক্ত একজন লেখক ও কলামিস্ট। তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
আমি মোঃ আজাদ মিয়া। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও প্রশিক্ষক (ইংরেজী)। শিক্ষা বিষয়ক লেখালেখির পাশা-পাশি ফেসবুকে আমাদের একটি Group আছে যার নাম শিক্ষক কণ্ঠস্বর। যাতে আমি নিয়মিত শিক্ষা বিষয়ক পোস্টগুলো শেয়ার করে থাকি। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
ফেসবুক । টুইটার । ইনস্টাগ্রাম। গুগল+ । ইউটিউব
C.E.O & Admin
আমি মোঃ গুলজার হুসাইন। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও প্রশিক্ষক (ইংরেজী)। ব্লগিং ও ইউটিউবিং আমার নেশা ও পেশা। এই দু’টো ছাড়া একটি মুহুর্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনা। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
আমি মোঃ রিয়াজ হোসেন। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও অনলাইন রাইটার(প্রযুক্তি)। ব্লগিং ও সোসাল মিডিয়া (ফেসবুক) এনালাইজ আমার নেশা ও পেশা। এই দু’টো ছাড়া একটি মুহুর্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনা। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
2 comments:
খুবই উপকারী একটি পোস্ট, পাঠ করে ভাল লাগলো ও নোট করে রাখলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই, কষ্টকরে পোস্টটি পড়ার জন্য। আপনারাই তো ইনফোটেকলাইফের প্রাণ।
Post a Comment