১৮. প্রথমেই আপনার দরকার হবে উইনরার (Winrar) নামক সফটওয়্যার। এটির মাধ্যমে আপনি সকল .rar নামক ফাইল ওপেন করতে পারবেন। যদি আপনার কাছে সফটওয়্যারটি থাকে তবে তা এখন ইন্সটল দিন।
১৯. এবার আমরা মজিলা ফায়ারফক্সের জন্য একটি adobe flash player ইন্সটল করবো। এটি না করলে মজিলা আপনাকে এই জিনিষ ইন্সটল করার জন্য বার বার ডিস্টার্ব করতে পারে।
২০. ইন্টারনেটের ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড জানার জন্য ছোট একটা ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করবো। সফটওয়্যারটির নাম Net Meter.
২১. যারা অনেক্ষনধরে কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের চোখের সমস্যা হতে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে Flux নামক সফটওয়্যার।
২২. এবার দিবো ছোট্ট একটি সফটওয়্যার যার নাম unlocker. যার মাধ্যমে আপনি যেসকল ফাইল ডিলেট হতে চায় না তাকে জোর করে ডিলেট করতে পারবেন।
২৩. এরপর আসতেছে ATTRIBUTE CHANGER নামক সফটওয়্যার। অনেক সময় ভাইরাসের কারনে পিসির হার্ডড্রাইভ বা পেনড্রাইভের অনেক ফোল্ডার/ফাইল হাইড হয়ে যায়। হাইড হইছে কিনা তা বুঝার জন্য উপরের ৫ নং পয়েন্টটা আবার পড়ুন। যাই হোক উইন্ডোজের ডিফল্ট কোন সফটওয়্যার দিয়ে ফাইলের ATTRIBUTE পরিবর্তন করা যায় না। এর ব্যবহারবিধি খুব সহজ। হিডেন ফাইল শো করার পর যেই ফাইল হিডেন হয়ে থাকবে তার উপর মাউজের রাইট ক্লিক করুন। তারপর Change Attribute এ ক্লিক করুন। বাকীটা আপনার উপর ছেড়ে দিলাম।
২৪. আমাদের পরবর্তি সফটওয়্যার হলো FOXIT READER. সাধারনত পিডিএফ ফাইল দেখার জন্য এডোবি রিডার ব্যবহার করি। কিন্তু এই এডোবি অনেক রিসোর্স নিযে চালু হয়। কিন্তু আমারতো ভাই দরকার হলো ফাস্ট ওপেন হওয়া। তাই আমি ফক্সিড রিডার ব্যবহার করি।
২৫. দরকারী সফটওয়্যারের Do PDF মধ্যে এর অবস্থান ঐচ্ছিক। মানে ইন্সটল করতেও পারেন, না করলেও চলে। তবে আমার পিসিতে এটি আছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এর মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোন ডকুমেন্ট কে পিডিএফ ফাইলে রুপান্তর করতে পারবেন। পিডিএফ বানানোর জন্য অনেক রকম সফটওয়্যার আছে। আপনার কাছে যদি অন্য কোন সফটওয়্যার থাকে তাহলে এটির কোন দরকার নাই। ব্যবহারবিধি সহজ। ইন্সটলের পর যে ডকুমেন্টটি পিডিএফ করতে চান তা ওপেন করুন। তার পর প্রিন্ট(print) অপশনে যান। do pdf সিলেক্ট করে প্রিন্ট কমান্ড দিন। ব্যস দেখবেন আপনার নির্দিষ্ট ফোল্ডারে সুন্দর একটি পিডিএফ ফাইল তৈরী হয়েছে।
বি:দ্র: অফিস ২০১৩ ভার্সনে সহজেই ওয়ার্ড ফাইলকে পিডিএফ ফাইলে রূপান্তর করা যায়।
২৬. একটু ভিডিও ফাইল না দেখলে কেমন হবে। ভিডিও ফাইল দেখার জন্য আমি দুইটা প্লেয়ার ব্যবহার করি। একটি হলো উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার ও অপরটি হলো KM Player. এখন কথা হলো উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার এ সব ফাইল নাও চলতে পারে। তার জন্য আমি একটা কাজ করি। লেটেস্ট K-Lite_Codec_Pack ব্যবহার করি।
ডাবল ক্লিক করে ইন্সটল শুরু করে দিন। ইন্সটলের এক পর্যায়ে এই রকম একটা অপশন আসবে… একটু খেয়াল করুন…
File associations
Select the player(s) for which you would like to create file associations
এর নিচে আপনার পিসিতে যত গুলি প্লেয়ার থাকবে তার নাম দেখতে পারবেন। আপনি এখানে শুধু মাত্র Windows Media Player এ চেক মার্ক করে পরবর্তি উইন্ডোতে এগিয়ে গিয়ে ইন্সটলেশন শেষ করবেন। এর ফলে আপনার উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার দিয়েই সমস্ত ফাইল সমূহ চালাতে পারবেন।
২৭. উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার বাদেও আমি আরেকটা প্লেয়ার ব্যবহার করি যার নাম KM Player.
২৮. আহারে আরেকটা সফটওয়্যারের কথাতো ভুলেই গেছিলাম। সেইটার নাম হলো Internet Download Manager. বেশির ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই এর নাম জানেন। যারা না জানেন তাদের জন্য একটু বলি। এই সফটওয়্যার দিয়ে ইন্টারনেট হতে যেকোন ফাইল খুব স্পিডে ডাউনলোড করা যায়। ডাউনলোড করার মাঝে যদি বিদ্যুত বিভ্রাট হয়ে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায়, তার পরেও যতটুকু ডাউনলোড করেছিলেন ঠিক তার পরের বাকিটুকু ডাউনলোড করা যায়।
২৯. পরবর্তি সফটওয়্যার Revo Uninstaller Pro পোর্টেবল ভার্সন। যে কোন সফটওয়ার ইন্সটলের পর আপনি যখন নরমাল ভাবে (start > Control Panel > Add or Remove Programs) আনইন্সটল করবেন তখন অনেক Left over file সিস্টেমে থেকে যায়। যা পরবর্তিতে সিস্টেম কে স্লো করে দেয়। কিন্তু এই রিভো আনইন্সটলার এর মাধ্যমে যদি আপনি কোন সফটওয়্যারকে আনইন্সটল করেন তবে সিস্টেমে আর কোন ব্যাড ফাইল থাকতে পারে না। এর রয়েছে আরও অনেক ফিচার। তাই নিশ্চিন্তে ইন্সটল করুন। ইন্সটল হয়ে গেলে তা চালু করুন। দেখবেন আপনার পিসিতে ইন্সটলকৃত সব সফটওয়্যার দেখাচ্ছে। এখন যেটি ডিলেট/আনইন্সটল করতে চান তার উপর ডাবল ক্লিক করুন। ডিলেটের কাজ শুরু হয়ে যাবে। এর পরে একটা পর্দা আসবে এই রকম Scaning Leftover files যার কথাই এতক্ষন বলতে চাইছি। দেখলেই বুঝবেন।
৩০. এই টা লাস্ট সফটওয়্যার। আর কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে বলবো না। নাম CCLEANER. সি ক্লিনার । নাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে এটি কম্পিউটারের সি ড্রাইভকে ক্লিন করে। ঠিক তাই এটি খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার। তাইতো এটার বর্ননা আমি একদম শেষে দিলাম। বিভিন্ন সময় সফটওয়্যার ইন্সটল/আন ইন্সটল, বিদ্যুত বিভ্রাট, উল্টাপাল্টা সেটিংস, ঠিকমত সফটওয়্যার ওপেন বা ক্লোজ না করা ইত্যাদি ইত্যাদি কারনে পিসিতে বিভিন্ন UNWANTED ফাইল সিস্টেমে জমা হয়, রেজিষ্ট্রি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলোশ্রুতিতে আপনার পিসি স্লো হয়। সি ক্লিনার এই কাজ গুলো ঠিক করে দেয়। এর ব্যবহারবিধি খুব সহজ। ইন্সটলের পর চালু করুন। চালু করার পর ডিফল্ট ভাবে এটি Cleaner ট্যাবে থাকবে। এরপর নিচের Analyze এ ক্লিক করুন। দেখবেন আপনার পিসির অনেক পরিমান ফাইল দেখাবে যার কোন দরকার নাই। তারপর Run Cleaner এ ক্লিক করুন। এরপর উপরের বাম পাশে Registry তে ক্লিক করুন। এরপর Scan for Issues তে ক্লিক করুন। দেখবেন অনেক Error দেখাচ্ছে। এর পর Fix selected issues… তে ক্লিক করুন। এর পর No > Fix All Selected Issues > close. আবার Scan for Issues > Fix selected issues… > No > Fix All Selected Issues > close. ব্যাস আপনার পিসি সুপারফাস্ট হয়ে গেল।
৩১. নাহ আর কোন সফটওয়্যার নয়। শুধু আর একটা দরকারী টিপস। অনেকে জানতে চায় যে ভাই আমিতো মজিলা ওপেন করে কিছু না করলেও মেগাবাইট কাটে। লাস্টে এসে তা এই গোপন বিষয়টা জানিয়ে যাই। তা হলো অনেক সফটওয়্যার ইন্সটলের সময় এর সাথে আরও দু-একটি ফ্রি সফটওয়্যার অটো ইন্সটল হয়। তেমন একটি হচ্ছে ASK.com টুলবার। এটি একটি উধাহরন। অনেক সময় আরো কিছু ইন্সটল হয়। যাই হোক এই টুলবারটি খুবই খারাপ। সে অটোতো ইন্সটল হয়ই, আবার ইন্টারনেট কানেক্ট থাকলে ঘন্টায় ঘন্টায় আপডেট হয়। কি বিশ্বাস হয় না। তাহলে ক্লিক করুন start > All Programs > Accessories > System Tools > Scheduled Tasks দেখবেন যে ASK.com নামক একটা সিডিউল জব করা আছে। ঐটা রিমোভ করে দিবেন। টাস্ক ম্যানেজার নিয়ে পরবর্তিতে ইনফোটেকলাইফ.কমে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। তাই আমাদের সাথেই থাকুন।
আর হ্যাঁ এরই সাথে বিদায় নিতে চাচ্ছি যতনে রাখিব যন্ত্র ( কম্পিউটার সম্পর্কে ধারাবাহিক প্রকাশনা) থেকে। তবে কম্পিউটারের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত অন্য শিরোনামে আরও অনেক ব্লগ লেখার ইচ্ছা রয়েছে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন। ইনফোটেকলাইফ.কমের সথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
1 comment:
Thanks
Post a Comment