বর্তমান প্রেক্ষাপট ও আদর্শ শিক্ষকের যেসকল গুনাবল থাকা বাঞ্চনীয়। - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

বর্তমান প্রেক্ষাপট ও আদর্শ শিক্ষকের যেসকল গুনাবল থাকা বাঞ্চনীয়।

বর্তমান প্রেক্ষাপট ও আদর্শ শিক্ষকের যেসকল গুনাবল থাকা বাঞ্চনীয়।

Share This




The fifth discipline’ বইয়ে একটা উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, “Leader as teacher’ is not about ‘teaching’ people how to achieve their vision. It is about fostering learning, for everyone. Such leaders help people throughout the organization develop systematic understanding.” একজন শিক্ষক যখন কেবল মাত্র শিক্ষক তখন কেবলমাত্র পঠন-পাঠন কার্যক্রম পরিচালনা, মূল্যায়ন ও প্রশাসনিক নিয়মিত দায়িত্ব পালনই এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু একজন শিক্ষক যখন নেতা, অর্থাৎ নেতৃত্বের গুণাবলির ছোঁয়া তার ভেতর থাকে তখন শিক্ষক হিসেবে তিনি নিজেকে দাঁড় করাতে পারেন একজন অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে। কাজেই শিক্ষককে তার শিক্ষণ-শিখন দক্ষতার সাথে নেতৃত্বের গুণাবলীও রপ্ত করা চাই। প্রথমত, একজন শিক্ষককে বর্তমানের প্রচলিত জ্ঞান সম্পর্কে নিজেকে হালনাগাদ রাখতে হবে। একজন শিক্ষক তখনই একজন স্বার্থক শিক্ষক যখন তিনি একজন ““life-long learner’. 

শিক্ষকের জ্ঞান সম্পর্কে পিপাসা, সৃজনশীল মনোভাব এবং সময়ের সাথে শিক্ষকতার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিজেকে পরিবর্তন করে চলা শিক্ষককে এগিয়ে নিয়ে যায় আরও অনেকখানি ধাপ উপরে। আর সেখানেই একজন শিক্ষক প্রকৃত অর্থে নেতা হয়ে উঠতে পারেন।দ্বিতীয়ত হল, যোগাযোগের দক্ষতা। একটা স্বার্থক শিক্ষণ-শিখন পরিবেশ গঠনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক সঠিক তথ্যটি নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে তা শিক্ষার্থীদের সাথে আদান-প্রদান করেন। এক্ষেত্রে শিক্ষকের তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সময়োপযোগী জ্ঞান থাকতে হয়।You cannot learn unless you listen”.

কাজেই শুনতে হবে সহকর্মী থেকে শিক্ষার্থী সকলের কথা।

একজন ভালো শ্রোতা নতুন ধারণা, পদ্ধতি, নীতিমালা গ্রহণে সদা প্রস্তুত থাকেন। একই সাথে নতুন জ্ঞানকে গ্রহণ ও আদান-প্রদান করা, সহকর্মীদের সাথে একটা বিশ্বস্ত সম্পর্ক স্থাপন, রিসোর্স প্রভাইড করা, শিক্ষাক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা, উপস্থাপনের দক্ষতা, শ্রেণীকক্ষে সহযোগী মনোভাব, বিদ্যালয়ে লিডারশিপ ধারণা প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্পষ্ট জ্ঞান, পরিবর্তনশীল মনোভাব, প্রেষণা প্রদান, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সাংগঠনিক দক্ষতা, সমন্বয় সাধনের দক্ষতা ইত্যাদিকে শিক্ষার্থীর সামর্থ্য বৃদ্ধিতে শিক্ষকের গুণাবলি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এছাড়াও একজন ভাল শিক্ষক এর যে সব গুন থাকা বাঞ্ছনীয় সে গুলোর অন্যতম হচ্ছে-

১) অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীদের মন বুঝতে হবে।
২) নিজের শিখবার আগ্রহ থাকতে হবে। কারন নিজের শিখবার আগ্রহ নয়া থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের শিখবার আগ্রহ তৈরী করতে পারবেন না।
৩) ভাল ভাবে বুঝানোর টেকনিক থাকতে হবে।
৪) ভাষা এবং উচ্চারন মান সম্মত হতে হবে।
৫) আচার আচরনে ভদ্র হতে হবে।
৬) মিশুক হতে হবে।
৭) সততা অপরিহার্য।
৮) নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।
৯) ধৈর্যশীল হতে হবে।

এর একটি গুনের অভাব থাকলে ভাল শিক্ষক তো দুরের কথা শিক্ষক হবারও যোগ্যতা থাকে না।

একজন শিক্ষককে প্রথমে একজন ভালো মানুষ হতে হবে | তাকে হতে হবে বিবেক সম্পন্ন মানবিক গুনের অধিকারী | তার ব্যক্তিত্ব হবে এমন যেন তার আদর্শে একজন শিক্ষার্থী তার জীবনকে উজ্জীবিত করতে পারে | এক কথায় একজন ভালো শিক্ষক হবে একজন শিক্ষার্থীর কান্ডারী যে শিক্ষার্থীকে সঠিক পথ দেখানোর হাল ধরবে |

সর্বপরি শিক্ষার্থীদের বোঝার চেষ্টা, ধৈর্য,ব্যক্তিত্ব, শেখানোর আগ্রহ,জ্ঞান, সততা, স্বচরিত্র। প্রশ্নটা খুব কঠিন ছিলো, আমার প্রিয় শিক্ষক কেন একজন অসাধারণ শিক্ষক এবং তার গুণাবলী গুলো মনে করলাম, দেখলাম উত্তরটা সহজ।

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages