এখন আর বেশি লেখালেখি করিনা, করতে ভালও লাগেনা। কারন কোন বিষয় নিয়ে লিখব? যখন লিখব ভাবি তখন আকাশ কুসুম সমস্যার পাহাড় আমার নিকট প্রতিযোগীতায় অবতীর্ন হয়। বাধ্য হয়ে লেখা বন্ধ করে দিই। আবার ভেতর থেকে লেখার তাগিদ অনুভব করি। খাতা কলম নিয়ে বসে পড়ি লিখতে। কিন্তু লেখা তো আর বের হতে চায়না। কিন্তু আজ কেন জানি আর বসে থাকতে মন চাইছেনা। কাছের অতি পিয় একজন মানুষ যে না বলে কয়ে এমন ভাবে নিরুদ্দেশ হতে পারে! সে টা যেন আর মন মেনে নিতে পারছেনা। হ্যাঁ আপনার ঠিকই আন্দাজ করেছেন। আমি আমাদের সদ্য প্রয়াত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী(নেপ) এর মহাপরিচালক মরহুম ফজলুর রহমান স্যারের কথাই বলছি। সদাহাস্য ও প্রফুল্ল এবং সাদা মনের এই মানুষটিা আনলাকি 13 এর নিকট পরাজয় স্বীকার করলেন। আনলাকি 13 ! সত্যিই কি তাই? বরাবরের মত ১৩ সংখ্যাটিকে তিনি ভয়ের চোখেই দেখতেন। কারন তাঁর কাছের মানুষদের থেকে শোনা তিনি বলতেন এই ১৩ তারিখটি নাকি তার জীবনে একটি অশুভ সংখ্যা ও তারিখ। কারন তিনি ১৩ তারিখের যে কোন প্রোগ্রাম অথবা মিটিং এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু সত্যিই কি পারলেন তিনি? পারলে হয়ত আজকের এই দিনটিকেও এড়িয়ে চলতেন। কিন্তু হায়রে নিয়তি! সরকারি পুর্ব নির্ধারিত কাজে একটি হায়েচ মাইক্রোবাসে খাগড়াছড়িতে যাচ্ছিলেন নেপ মহাপরিচালক আমাদের প্রাণপ্রিয় জনাব মোঃ ফজলুর রহমান ও তার সফরসঙ্গীরা ।সকাল ৭টার দিকে ফটিকছড়ির
বারৈরহাট এলাকার আনন্দপুর কমিউনিটি সেন্টারের কাছে লোহাবোঝাই একটি ট্রাকের
সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মহাপরিচালক সহ মাইক্রোবাসে থাকা অনেকেই গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন- চট্টগ্রাম পিটিআইর (প্রাইমারি টিচার ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট)
সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল ইসলাম তালুকদার, পটিয়া পিটিআইর সুপারিনটেনডেন্ট
মুশফেকা বিনতে সুলতান, পিটিআইর পিয়ন সাইফুল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে
চিকিৎসকরা ফজলুর রহমান স্যারকে মৃত ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের গুরুত্বপুর্ন সংবাদপত্র ও মিডিয়ার এই খবরটি তাৎক্ষনিক প্রচার করে। মহুর্তের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮২(স্পেশাল) ব্যাচের একজন সদস্য। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন যুগ্ম সচিব । ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ), ময়মনসিংহ-এর মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন। তাছাড়া তিনি উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, থানা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন), মেরিন সেফটি অফিসার ও স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট, উপ-সচিব ও ডিআইজি (প্রিজন্স) এবং যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়ী রোডের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য। তিনি সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, জাপান, ভারত ইত্যাদি দেশ ভ্রমণ করেন।
“স্মৃতিতে ফজলুর রহমান স্যার”
সদা হাস্যজ্জ্বল, তারুণ্যের প্রতীক, সাদা মনের মানুষ, প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের অভিভাবক, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক সদ্য প্রয়াত মো. ফজলুর রহমান স্যার। উনি যে তারিখে যোগদান করেন নেপে সেই তারিখে আমিও একটি কর্মশালায় ছিলাম। প্রথমদিন তাঁর কতাবার্তা শুনেই মনে হল খুব আত্মবিশ্বাসী একজন মানুষ। উনি প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন আমাদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায়। উনি মঞ্চে যখন বক্তৃতা করতেন তখন ইংরেজিতে কথা বলতেন। অত্যন্ত সুন্দর, সাবলিল বক্তৃতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে গুণগত মানে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করার জন্য আমাদেরকে উদাত্ত আহবান জানাতেন। আমাদেরকে তিনি বলতেন এখানে কাজ করে আপনারা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সেটা নিজ স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন। সুযোগ পেলে সেটা যেন উপজেলার শিক্ষকদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিই। বছরে ৩/৪ বার নেপে যেতে হয় কিছু রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে। ডিজি স্যার আমাদের কর্মশালার উদ্ভোধনী ও সমাপনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতেন। প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে এসে উৎসাহ উদ্দীপনা দিতেন। বলতেন, "আপনারা যে কাজ করে যাচ্ছেন সে বিষয়ের বিশেষজ্ঞ আপনারা। আপনারা কিভাবে আরো মানসম্মতভাবে কাজ করা যায় সেটা ভাববেন, আমি এ বিষয়ে আপনাদেরকে জ্ঞান দিতে পারবো না।" নেপের ক্যাম্পাসে যখনই আমাদের সাথে দেখা হত তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প জুড়ে দিতেন। এত উপরের লেভেলের একজন ব্যক্তি কিন্তু আমাদের সাথে যেভাবে মিশতেন মনে হত তিনি যেন আমাদের মতই একজন শিক্ষক। স্যারের কাছে কোন ভেদাভেদ ছিলনা।
স্যার নেপে যোগ দিতেই নেপের অভ্যন্তরীন পরিবেশ বদলে গেল। যে হোস্টেল গুলোতে আমরা থাকতাম সেগুলোর অবস্থা যেন রাতারাতি বদলে গেল। হোস্টেলের খাটসহ আসবাবপত্রে ও বিরাট পরিবর্তন! উনি প্রাথমিক শিক্ষার পরিবর্তনের যে কথাগুলো বলতেন সেটা শুধু কথার কথা ছিল না। উনি প্রকৃত পক্ষেই কাজে বিশ্বাসী একজন কর্মবীর ছিলেন। উনি সপ্তাহের সবদিনই কাজ করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তিনি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন পিটি আই তে। আর সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সারাবছরই আমরা দেখতে পাই সারাদেশ চষে বেড়াতে। পিটি আই গুলোতে নিয়মিত ভিজিট করা ছিল তাঁর রুটিন ওয়ার্ক। মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার মত কঠিন কাজকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। এমন একজন কর্মবীরের মৃত্যু প্রাথমিক শিক্ষা অপুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
স্যার ছিলেন একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। ২০১৬ সালের কোন এক কর্মশালার শেষ দিবসের আগের রাতে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজনের জন্য কয়েকজন শিক্ষক স্যারকে জানালেন এবং স্যারের অনুমতি চাইলে স্যার সেই প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করে সম্মতি জানান। সেই সন্ধ্যায় হলরুমে গিয়ে দেখি স্যার নিজ উদ্যোগে সবধরণের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এবং একটি ব্যানারও টানিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এসব আয়োজন দেখে অবাক হই। পরে দেখলাম ময়মনসিংহ পি টি আই এর সুপার ম্যাডাম কয়েকজন স্বনামধন্য গায়িকা শিক্ষক এবং বাদ্যযন্ত্রের বাদক নিয়ে আমাদের মঞ্চে হাজির হলেন। সেই সন্ধ্যায় আমাদের অনুরোধে ময়মনসিংহ পি টি আই এর সুপার ম্যাডাম এবং ডিজি স্যারও গান গেয়েছিলেন। রুবিনা জেসমিন নামের মাগুরা জেলার একজন শিক্ষক " কালো মাইয়ার কথা কেউ বুঝতে চায় না।" এরকম একটি গান স্যারের খুব ভাল লেগেছিল। স্যার রুবিনা ম্যাডামকে দিয়ে দ্বিতীয়বার গানটি গাওয়ালেন।সেই গানে নিজ হাতে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছিলেন।
আমরা সিলেটিরা সেদিন সিলেটি দামাইল উপস্থাপন করেছিলাম।স্যার তাঁর নিজের ট্যাব নিয়ে এসে নিজ হাতে সমস্ত প্রোগ্রাম রেকর্ড করেছিলেন। স্যারের সাথে অনেক স্মৃতিময় সময় আমরা পার করেছি।
একবার উনি প্রধান অথিতির বক্তৃতা শেষ করে মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসলেন। আমরা সবাই যে যার কাজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় তিনি সবাইকে জায়গায় বসতে বলে আমাদের একদম কাছাকাছি এসে গল্প শুরু করলেন। নিজের চাকুরি জীবনের গল্প শুনালেন। সিলেটের মাটি ও মানুষের প্রতি ছিল তার অন্যরকম মমতা। জিজ্ঞেস করলেন সিলেট থেকে কারা এসেছি । আমরা ৪/৫ জন ছিলাম সিলেটি। আমাদের পরিচয় জানলেন। জানালেন তিনি সিলেটের মৌলভীবাজার এবং ছাতকে চাকুরি করেছেন। সিলেটি ভাষা বুঝতেন এবং সিলেটি ভাষায় কথাও বলতে পারতেন। সিলেটি ভাষায় আমাদের সাথে কথা বলে মজা করতেন। নেপে গেলে ডিজিট স্যার এবং বিশেষজ্ঞ একেএম মনিরুল ইসলাম স্যার( এডিপিও) আমাদের সাথে সবার সম্মুখে প্রায়ই সিলেটি ভাষায় কথা বলে মজা করতেন।
একবার ডিজি স্যার আমাদেরকে জানালেন, আর্মির নিজস্ব হাসপাতাল আছে, পুলিশেরও আছে কিন্তু সরকারি চাকুরিতে সবচেয়ে বেশি লোকের পরিবার হল প্রাথমিক শিক্ষকদের পরিবার। অথচ শিক্ষকদের কোন হাসপাতাল নেই। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করেছেন। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে জানালেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আলাদা হাসপাতাল স্থাপন করার জন্য যত জায়গায় যাবার প্রয়োজন হবে তত জায়গায় যাবেন। তিনি দেখেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সারাজীবন চাকুরি করে কিন্তু রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাতে পারেন না, সাহায্যের জন্য হাত পাততে হয়, অভাবের কাছে হার মানে শিক্ষকদের জীবন। তিনি আমাদের কাছে দোয়া চেয়েছিলেন যেন তিনি প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য একটি হাসপাতাল করে যেতে পারেন। আজ স্যার পরপারে চলে গেছেন। তাঁর স্বপ্নের হাসপাতাল(সিএমএইচ এর মত) করে যেতে পারেননি। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন, কিছু কাজও করেছিলেন।কিন্তু সেটা আর এগুবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য সিএমএইচের আদলে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করে জনাব মো. ফজলুর রহমান স্যারের নামে নামকরণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফজলুর রহমান স্যার ছিলেন অত্যন্ত সদালাপী, বিনয়ী এবং স্পষ্টবাদী একজন অমায়িক মানুষ। প্রাথমিক শিক্ষকদেরকে তিনি মর্যাদার আসনে অধিষ্টিত করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির মানুষ। অতি অল্প সময়ে নেপের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মনের মণিকোটায় একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেন। আজ(১৩/০৫/২০১৭) যখন স্যারের মৃত্যুর সংবাদ নেপে পৌছে সেখানে এক অন্যরকম বেদনা বিদুর আবেগগণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। একটি ৬দিনের কর্মশালায় ১২ই মে নেপে এসে পৌছি। খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় নেপের সবার আবেগ অনুভুতি। পিতৃতুল্য অভিভাবকের মৃত্যু সবাইকে কাঁদিয়ে বেদনার পাথরে পরিনত করে।
২০১৬ সালে এক কর্মশালায় আমরা নেপে এসেছিলাম। সন্ধ্যার দিকে এসে হোস্টেলে উঠেছি। রাত ৮ টার দিকে শুনলাম কারা যেন দরজায় নক করছে।দরজা খুলে আমরা অবাক হয়ে গেছি। স্বয়ং মহাপরিচালক স্যার এসেছেন আমাদের খোঁজখবর নিতে।রুমে ঢুকে জানতে চাইলেন আসার সময় রাস্তায় কোন সমস্যা হয়েছিল কি না।রুমের বিছানাসহ সব কিছু ঠিক আছে কি না। একে একে প্রত্যেকটি রুমে স্যার গেলেন, সবার খোঁজখবর নিলেন। জানিনা অতীতে নেপে এই ধরনের মহাপরিচালক আর কেউ এসেছিলেন কি না। এত উচুঁ লেভেলের একজন মানুষ কি না আমাদের মত শিক্ষকদের খোঁজখবর নেয়!!!
স্যার একদিন আমাদের জানালেন অধিদপ্তরের এক সভায় প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নিত করতে জোরালো দাবি উত্থাপন করেন। স্যার আমাদেরকে জানালেন যে সমাপনীর মত জেএসসির সকল কাজ আমাদের মাধ্যমেই করাবেন।স্যার বলেছিলেন, " আমি বিশ্বাস করি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনারা জেএসসি পরীক্ষার যাবতীয় কাজ খুব ভালভাবেই করতে পারবেন।" জীবনে অনেক উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখেছি যারা অধঃস্তনদের শুধু দোষ খুজেন কিন্তু ডিজি স্যার ছিলেন একেবারে ব্যতিক্রম। কোনদিনই তার মুখ দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের কোন ত্রুটি বিচ্যুতির কথা বের হয়নি।শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজের প্রসংশা করতেন। স্যার আমাদের ড্রেস আপ নিয়ে উচ্চসিত প্রসংশা করতেন। বলতেন "প্রাথমিক শিক্ষকরা আর আগের মত নেই। কি সুন্দর পরিপাঠি আমার শিক্ষকরা।"
আজ বারবার স্যারের বিভিন্ন স্মৃতি রোমন্থন করছি। নেপে একটি কর্মশালায় এসেছি কিন্তু কাজ করতেই পারছিনা।বারবার স্যারের হাস্যজ্জ্বোল মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠছে। কাকতালীয় কিনা জানিনা ২০১৫ সালে ২০ শে জানুয়ারী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোবধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেপে এই কর্ম বীরের অভিষেক। আজ ২০১৭ সালের ১৩ ই মে আবার ও প্রশিক্ষন কর্মশালার তিনি মধ্যমনি ছিলেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে কর্মশালার উদ্বোধনের পরিবর্তে পৃথিবী তাকে চির বিদায় জানাল। অভিষেক আর বিদায় এ যেন দুটি জোড়া শব্দ। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের এই ঘনিষ্ট বন্ধু এবং একজন সুদক্ষ অভিভাবককে হারিয়ে আমরা সত্যিই এতিম হয়ে পড়েছি। এরকম মানুষ পৃথিবীতে বারবার জন্মায় না। মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাঁর পরিবারকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।আল্লাহ তায়ালা তাঁর আত্মাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।আমীন।
মোঃ আজাদ মিয়া
সহ.শিক্ষক ও প্রশিক্ষক
আইটেম রাইটার এন্ড ডেভেলপার
লেখক ও গবেষক: শিক্ষাবার্তা
মোবাইল: ০১৭১৭-৬৫২২৩১
এবং
মোঃ গোলজার আলী
সহ. শিক্ষক ও প্রশিক্ষক
আইটেম রাইটার এন্ড ডেভেলপার
এ্যাডমিন- http://infotechlife.com
মোবাইল: ০১৭১২-২৪৯৭০৯
ইনফোটেকলাইফ.কম এর তালিকা ভুক্ত একজন লেখক ও কলামিস্ট। তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
আমি মোঃ আজাদ মিয়া। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও প্রশিক্ষক (ইংরেজী)। শিক্ষা বিষয়ক লেখালেখির পাশা-পাশি ফেসবুকে আমাদের একটি Group আছে যার নাম শিক্ষক কণ্ঠস্বর। যাতে আমি নিয়মিত শিক্ষা বিষয়ক পোস্টগুলো শেয়ার করে থাকি। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
ফেসবুক । টুইটার । ইনস্টাগ্রাম। গুগল+ । ইউটিউব
C.E.O & Admin
আমি মোঃ গুলজার হুসাইন। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও প্রশিক্ষক (ইংরেজী)। ব্লগিং ও ইউটিউবিং আমার নেশা ও পেশা। এই দু’টো ছাড়া একটি মুহুর্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনা। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
আমি মোঃ রিয়াজ হোসেন। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও অনলাইন রাইটার(প্রযুক্তি)। ব্লগিং ও সোসাল মিডিয়া (ফেসবুক) এনালাইজ আমার নেশা ও পেশা। এই দু’টো ছাড়া একটি মুহুর্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনা। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
No comments:
Post a Comment