(
আমি কোন ধর্ম বিদ্যা বিশারদ নই, আমার পরিচয় আমি একজন জ্ঞান পিপাসু। জ্ঞান
অর্জনের প্রতি আমার বরাবরই একটি দুর্বলতা রয়েছে। কারন- পবিত্র ধর্মগ্রন্থ
কোরআনের প্রথম বানী “পড়...........” অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন কর। আমার এই লেখাটি
আমার নিজস্ব সম্পত্তি নয়, অনলাইনের বিভিন্ন স্থান হতে একজায়গায় নিয়ে একটা
রুপ দেওয়ার চেষ্টা মাত্র। কোন ধর্মকে ছোট করা বা কোন ধর্মের শ্রেষ্ঠত্য
প্রমাণ করা আমার উদ্দেশ্য নয়।)
ইসলাম ধর্মের শেষ নবী
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) শুধু মুসলমানদের একার সম্পত্তি নয়। তিনি সারা পৃথিবীর
মানুষের জন্য প্রেরিত এক মহামানব। পৃথিবীতে স্বীকৃত প্রায় প্রতিটি
ধর্ম্বাবলম্বিদের ধর্মগ্রন্থে এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আজ আমাদের আলোচনার
বিষয়বস্তু হল খ্রিষ্ট ধর্মীয়
গ্রন্থসমুহে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সম্পর্কে ভবিষ্যতবানী।
বাইবেলে যাকে সত্যের আত্মা, সহায় এবং গ্রীক ভাষায় বলা হয়েছে প্যারাক্লীতোস (শব্দের অর্থ হল প্রসংশিত) – তিনিই হলেন মুহাম্মদ (প্রশংসিত), তিনিই আহম্মদ (প্রশংসনীয়)।
সত্যের আত্মার আগমন সম্পর্কে বাইবেলের নূতন নিয়মের যোহন লিখিত সুসমাচারে বর্ণিত আছেঃ
“৭তথাপি আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে, সেই সহায় তোমাদের নিকট আসিবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের নিকটে তাঁহাকে পাঠাইয়া দিব।” সূত্রঃ বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাইবেলের নূতন নিয়মের যোহন ১৬ : ৭
“১৩পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন; কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না; কিন্তু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।” সূত্রঃ বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাইবেলের নূতন নিয়মের যোহন ১৬ : ১৩
১৬আর আমি পিতাকে অনুরোধ করব, এবং তিনি অপর একজন সহায়ক তোমাদের দেবেন, যেন চিরকাল ধরে তোমাদের সঙ্গে থাকেন; সূত্রঃ নিউ টেস্টামেন্ট-যোহন ১৪:১৬
[-] প্রশ্ন এসে যায় বাইবেলের নতুন নিয়মের এই প্যারাক্লীতোস বা সহায়ক বা সত্যের আত্মা কে? তিনি কি স্বীয় ঈশা মসীহ নিজে না অন্য কেউ? নিশ্চিত ভাবেই বলা চলে বাইবেলের এই সহায়ক খোদ যীশু খ্রীষ্ট নয় বরং যীশু খ্রীষ্টই ঈশ্বরের কাছে একজন সহায়কের প্রার্থনা করেছেন পরবর্তী উম্মতের জন্য।
No comments:
Post a Comment