নিস আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট):পর্ব -- ১ - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

নিস আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট):পর্ব -- ১

নিস আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট):পর্ব -- ১

Share This
মাসুদুর রশিদ
মাসুদুর রশিদ, ডেভসটিম লিমিটেডের একজন কো ফাউন্ডার ও ইন্টারনেট মার্কেটিং স্ট্যাটেজিস্ট হিসাবে কাজ করছেন। ২০০৮সাল থেকে ব্লগিং ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছেন। তার লেখা হতে আজ আমরা জানব এমাজন এফিলিয়েট সম্পর্কে। একজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হতে হলে কোন পথে কিভাবে এগুতে হবে আসুন তা জানার চেষ্চা করি।

অনেকেই আমার কাছে জিজ্ঞাসা করে, যে কিভাবে একটা নিস সাইট ডেভলপ করতে হয়? কিভাবে অল্প পরিশ্রমে তুলনা মূলক অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়? আমি অনেককেই পার্সনালি আমার নিস সাইট তৈরীর মেথড গুলো শেয়ার করেছি। আমার এই লেখায় আমি একটি লাইভ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করব এবং সেখানে ডিটেলস দেখানোর চেষ্টা করব যে আমি আসলে কিভাবে একটা নিস সাইট তৈরী করি, সেটি কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে রেংঙ্ক করাই এবং সর্বপরি সেটা থেকে কিভাবে মনিটাইজ করি। আমার এই লাইভ প্রজেক্টির নাম আমি ঠিক করেছি “নিস আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং”

আমার এই প্রজেক্টির সার্বিক সহযোগিতায় আছে আমার বন্ধুও ব্যবসায়িক পার্টনার তাহের চৌধুরী সুমন। এছাড়া, বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন নাসির উদ্দিন শামিম, আলামিন কবিরইউনুস হোসেন। আমাদের এই প্রজেক্টিতে মূলত আমরা আমাজনের (Amazon.com) প্রডাক্টের অ্যাফিলিয়েশান করব। আগেই বলে রাখা ভাল, এটাই হবে আমার (ব্যক্তিগত) প্রথম আমাজনের প্রডাক্ট রিভিউ নিস সাইট। অনেক আগে থেকেই সফলতার সাথে অ্যাডসেন্স নিস সাইট পাশাপাশি ল্যান্ডিং পেজ করে বিভিন্ন প্রডাক্টের অ্যাফিলিয়েশান করলেও আমাজন রিভিউ সাইট তৈরি করে অ্যাফিলিয়েশান করা হয় নাই। পূর্বের নিস সাইট তৈরির সম্পূর্ন জ্ঞান আর প্রাপ্ত অভিজ্ঞতাটাই এই প্রজেক্টে ইমপ্লিমেন্ট করবো।

আমি আমার এই লাইভ প্রজেক্টির মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করব, কিভাবে একটি ছোট নিস সাইট থেকে প্রতি মাসে ৪০০+ ডলার (৩২০০০ টাকা) আয় করা যায়
নিস আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং চেক লিস্ট:




অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর নিস সাইট করার জন্য অবশ্যই প্রডাক্ট বেজড প্রফিটেবল কিওয়ার্ড খুজে বের করতে হবে সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে যাতে সেই কিওয়ার্ডটি এসইও কম্পিটিশান তুলনামুলক কম হয়। আমি যেই মেথডে কিওয়ার্ড খুঁজি তা আমার কিওআর্ড রিসার্চ সেকশনে ডিটেইলস দেওয়া আছে। কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন…. 


কিওয়ার্ড খুজে বের করার পর পরবর্তি স্ট্যেপ হল সেই কিওয়ার্ডের কম্পিটইশান কেমন তা যাচাই বাছাই করা। লো কম্পিটিশানের কিওয়ার্ড হলে আমরা সেটা নিয়ে কাজ করব আর যদি সেই কিওয়ার্ডটির কম্পিটিশান হাই হয় তাহলে সেটা আমরা এড়িয়ে যাব। কম্পিটিশান অ্যানালাইসিস করার সব গুলো মেথড জানব এই অংশে। 




একটি আদর্শ নিস সাইট তৈরী করতে আপনাকে অবশ্যই ভাল মানের ডোমেইন কিনতে হবে। কোথা থেকে আমরা ডোমেইন কিনব, কি কি ফেক্টর চিন্তা করে আমরা ডোমেইন বাছাই করব তা আমরা ডোমেইন নির্বাচন সেকশানে বিস্তারিত জানব।
  



ডোমেইন কেনার পর সেটা সেটাপ করার জন্য আপনাকে একটা ওয়েব হোস্টিং কিনতে হবে। একটি ভাল মানের হোস্টিং আপনার সাইটের রেংকিং এ পজিটিভ প্রভাব ফেলবে। ওয়েব হোস্টিং সেকশানে আমরা কোন হোস্টিং নেব, কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে হোস্টিং নেওয়ার ক্ষেত্রে তা আমরা বিস্তারিত জানব। 


৫। ব্লগ সেটাপ (ওয়ার্ডপ্রেস): 


ডমিন হোস্টিং নেওয়ার পর আমরা সেখানে ব্লগ বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সেটাপ দিব। এবং অ্যাফিলিয়েট করার জন্য বেস কিছু প্লাগিং ব্যবহার করব। ব্লগ সেটাপ সেকশানে আমরা কিভাবে একটা অ্যাফিলিয়েট ফ্রন্ডলি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানো যায় তা শিখব। 


৬। ব্লগ রাইটিং: 


ব্লগটি সম্পূর্ন সেটাপ হয়ে গেলে কিভাবে সেখানে কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে, কত ওয়ার্ডের কনটেন্ট পাবলিস করতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত প্লান আমরা কনটেন্ট রাইটিং বা ব্লগ রাইটিং সেকশানে বিস্তারিত জানব।
  

৭। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান: 


অ্যাফিলিয়েট নিস ব্লগটিং সার্চইঞ্জিনে রেংকিং এ আনার জন্য এতে সু-পরিকল্পিত এসইও প্লান করতে হবে। যেখানে আমরা খুব সতর্কতার সহিত অন-পেজ ও অফ-পেজ এসইওর কাজ গুলো চেকলিস্ট আকারে করব। এই সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা থাকবে আমাদের এসইও সেকশানে। 


৮। মনিটাইজেশান: 


এই পার্টে আমরা শিখব কিভাবে ব্লগ কনটেন্টে অ্যাফিলিয়েট লিংক বসাতে হয়। অ্যাফিলিয়েট লিংক-কে কিভাবে মাস্কিং করা যায়। অর্থ্যাত সাইটকে কিভাবে মনিটাইজ করতে হবে তার বিস্তারিত জানতে পারব আমরা এই পার্টে। 


৯। ইমেইল লিস্ট বিল্ডিং:


এই অংশে আমরা শিখব কিভাবে আপনি আপনার সম্ভ্যাব্য ক্রেতাদের ইমেল লিস্ট কালেক্ট করবেন এবং তাদের সাথে কিভাবে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে তাদেরকে বায়িং কাস্টমারে পরিনতি করাবেন। 


১০। ট্রাকিং: 


এই সেকশানে আমরা শিখব কিভাবে একজন ভিজিটরকে ট্রেক করা যায়। এছাড়া এই পার্টে আমরা দেখব কোন প্রডাক্টের কেমন সেল হচ্ছে আর কোনটা হচ্ছে না। সর্বপরি ভিজিটর থেকে শুরু করে ক্রতাদের ট্রাকিং এর সব গুলো স্ট্যেপ আমরা এই অংশে জানব। 


১১। পে-আউট: 


এই অংশে আমরা জানব কিভাবে আমাদের কমিশনের অর্থ উত্তলন করা যায়। এবং প্রতি মাসে কবে/কখন সেই অর্থ আসবে তার বিস্তারিত তথ্য জানব। 

চলবে……

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages