Infotech Ad Top new
Infotech ad post page Top

খবর টা আসলেই আশা জাগানিয়া, যা আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। আয়তনে ছোট্ট এই দেশের বিপুল জনসংখ্যার মাঝে ছডিয়ে রয়েছে কত মেধাবি মুখ। এই অসংখ্য মেধাবী প্রানের মাঝে কেউ কেউ আবার নিজগুনে নিজেকে আবার নতুন করে চেনায়। টা্ঙ্গাইলের বেতকার ওয়াহিদ তাঁদের মধ্যেই একজন যিনি সম্প্রতি পাইলট বিহীন বিমান তৈরী করে ইতিমধ্যেই সারা বাংলাদেশে সাঁড়া ফেলে দিয়েছেন। পুরো নাম মির্জা ওয়াহিদ। ডাক নাম তাপস। এই নামেই তাঁকে উক্ত এলাকায় সবাই চেনে। একাউন্টিং এর একজন ছাত্র হলে তিনি ছিলেন আগাগোড়া একজন বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ।
বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী শক্তি ওর ভেতরে প্রচুর। স্বাপ্নিক এ যুবকের স্বপ্ন ছিল আকাশে ওড়ার। সেই স¦প্ন থেকেই পাইলটবিহীন বিমান তৈরি করে উড়ালেন আকাশে। মির্জা ওয়াহিদ হোসেন জানান, আড়াই ফুট লম্বা ডেপ্রন ফোম দিয়ে তিনি বিমানটি তৈরি করেছেন। এর ভেতরে ২৫০ ওয়াটের মোটরসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। সব যন্ত্রপাতিই চীন থেকে আমদানি করা।এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ১মাস। খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সম্প্রতি শহরের মিরের বেতকা বিল এলাকায় তিনি উড়ান বিমানটি। ওয়াহিদের তৈরি বিমানটি সত্যি-সত্যিই আকাশে উড়ছে এটি দেখে অভিভূত হন এলাকাবাসী।
মির্জা ওয়াহিদ ওরফে তাপস হলেন টাঙ্গাইলের বেতকার মির্জা মালেক হোসেনের ছোট সন্তান। পুত্রের এ উদ্ভাভনে তিনি গর্বিত। মির্জা ওয়াহিদ হোসেন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র। তিনি এসএসসিতে জিপিএ-৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৭ পান। বৃত্তি পেয়েছিলেন ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে। তিনি এবার সরকারি সা’দত কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে (অর্নাস) ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি কালিহাতীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। ওয়াহিদের বাবা বলছেন, তার ছোট ছেলে ওয়াহিদের ছোট বেলা থেকেই ইলেট্রনিক্স এর প্রতি ঝোঁক ছিল। সে লাইট, ফ্যান থেকে শুরু করে সাউন্ড সিস্টেম কম বেশি সব কিছু নিয়েই কাজ করতো। ২০০৮ সালে জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় তার নিজস্ব প্রজেক্ট দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।
এছাড়া তার প্রিয় শখের মধ্যে রয়েছে শুটিং। এ পর্যন্ত টাঙ্গাইল রাইফেলস ক্লাবের পক্ষ থেকে ৬বার জাতীয় শুটিং প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ গেমসেও অংশ নিয়েছেন। ফটোগ্রাফিতেও তিনি দারুণ চৌকষ। বিমান তৈরির বিষয়টি কিভাবে মাথায় এলো এ প্রশ্নের উত্তরে তরুণ উদ্ভাবক মির্জা ওয়াহিদ হোসেন বলেন, আকাশে ওড়ার স্বপ্ন থেকেই মূলত বিমান তৈরির বিষটি তার মাথায় আসে। ইন্টারনেটের মাধ্যেমে জ্ঞান আহরন তার এই এই স্বপ্নপূরণের পথকে সহজ করে। তিনি জানান, এ স্বপ্নপূরণের বিষয়টি বেশ ব্যয়বহুল। টিউশনির টাকা থেকে কিছু কিছু জমিয়ে তাকে এ বিমান তৈরির ব্যয় মিটাতে হয়েছে। একাজে তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের সবাই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বন্ধু-বান্ধবরাও দিয়ে উৎসাহ। মির্জা ওয়াহিদ হোসেন বলেন, এ ধরনের কাজের বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক সম্ভাবনা ও বাজার রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে সীমান্ত এলাকা ও যুদ্ধক্ষেত্রে এখন ড্রোন ব্যবহার করা হয়। আমি যে ধরনের বিমান তৈরি করেছি একই পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরি করা সম্ভব, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারবে। তবে ব্যক্তিগত উদ্যেগে খুব বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
Tags
# বিজ্ঞান ও বিষ্ময়
Share This

About Goljar- The Patroblogger
ইনফোটেকলাইফ.কম এর তালিকা ভুক্ত একজন লেখক ও কলামিস্ট।
তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
Newer Article
জাল সার্টিফিকেটে শিক্ষকতা করছেন ৬০ হাজার শিক্ষক!
Older Article
২২ টি জেলার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ১৬ ই অক্টোবর ‘১৫ইং তারিখে!
উইকিলিকস ফাঁসকৃত তথ্য বলছেঃ এলিয়েন(Alien's Civilization) সভ্যতার অস্তিত্ব সম্পর্কে ভ্যাটিক্যান পুর্ব হতেই অবগত আছে !
Goljar- The PatrobloggerOct 16, 2016হয়ত আপনিও একদিন মহাকাশে যেতে পারবেন ভ্রমনে!
Goljar- The PatrobloggerOct 15, 2016CCLR-5: এইডস এর ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় প্রাকৃতিক নিয়মেই যে জিন নিজে নিজেই মানব শরীরে বেড়ে উঠছে !
Goljar- The PatrobloggerNov 02, 2015
Ярлыки:
বিজ্ঞান ও বিষ্ময়
No comments:
Post a Comment