একেই বলে সোনার বাংলার সোনার মানুষ! পাইলটবিহীন বিমান বানালেন ওয়াহিদ ! - ICT-তে জীবন গড়ি

Infotech Ad Top new

Infotech ad post page Top

একেই বলে সোনার বাংলার সোনার মানুষ! পাইলটবিহীন বিমান বানালেন ওয়াহিদ !

একেই বলে সোনার বাংলার সোনার মানুষ! পাইলটবিহীন বিমান বানালেন ওয়াহিদ !

Share This
খবর টা আসলেই আশা জাগানিয়া, যা আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। আয়তনে ছোট্ট এই দেশের বিপুল জনসংখ্যার মাঝে ছডিয়ে রয়েছে কত মেধাবি মুখ। এই অসংখ্য মেধাবী প্রানের মাঝে কেউ কেউ আবার নিজগুনে নিজেকে আবার নতুন করে চেনায়। টা্ঙ্গাইলের বেতকার ওয়াহিদ তাঁদের মধ্যেই একজন যিনি সম্প্রতি পাইলট বিহীন বিমান তৈরী করে ইতিমধ্যেই সারা বাংলাদেশে সাঁড়া ফেলে দিয়েছেন। পুরো নাম মির্জা ওয়াহিদ। ডাক নাম তাপস। এই নামেই তাঁকে উক্ত এলাকায় সবাই চেনে। একাউন্টিং এর একজন ছাত্র হলে তিনি ছিলেন আগাগোড়া একজন বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ। 


বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনী শক্তি ওর ভেতরে প্রচুর। স্বাপ্নিক এ যুবকের স্বপ্ন ছিল আকাশে ওড়ার। সেই স¦প্ন থেকেই পাইলটবিহীন বিমান তৈরি করে উড়ালেন আকাশে। মির্জা ওয়াহিদ হোসেন জানান, আড়াই ফুট লম্বা ডেপ্রন ফোম দিয়ে তিনি বিমানটি তৈরি করেছেন। এর ভেতরে ২৫০ ওয়াটের মোটরসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। সব যন্ত্রপাতিই চীন থেকে আমদানি করা।এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ১মাস। খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সম্প্রতি শহরের মিরের বেতকা বিল এলাকায় তিনি উড়ান বিমানটি। ওয়াহিদের তৈরি বিমানটি সত্যি-সত্যিই আকাশে উড়ছে এটি দেখে অভিভূত হন এলাকাবাসী।

কে এই বিজ্ঞানী ওয়াহিদ?


মির্জা ওয়াহিদ ওরফে তাপস হলেন টাঙ্গাইলের বেতকার মির্জা মালেক হোসেনের ছোট সন্তান। পুত্রের এ উদ্ভাভনে তিনি গর্বিত। মির্জা ওয়াহিদ হোসেন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র। তিনি এসএসসিতে জিপিএ-৫, এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৭ পান। বৃত্তি পেয়েছিলেন ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে। তিনি এবার সরকারি সা’দত কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে (অর্নাস) ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি কালিহাতীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। ওয়াহিদের বাবা বলছেন, তার ছোট ছেলে ওয়াহিদের ছোট বেলা থেকেই ইলেট্রনিক্স এর প্রতি ঝোঁক ছিল। সে লাইট, ফ্যান থেকে শুরু করে সাউন্ড সিস্টেম কম বেশি সব কিছু নিয়েই কাজ করতো। ২০০৮ সালে জাতীয় বিজ্ঞান মেলায় তার নিজস্ব প্রজেক্ট দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।

এছাড়া তার প্রিয় শখের মধ্যে রয়েছে শুটিং। এ পর্যন্ত টাঙ্গাইল রাইফেলস ক্লাবের পক্ষ থেকে ৬বার জাতীয় শুটিং প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ গেমসেও অংশ নিয়েছেন। ফটোগ্রাফিতেও তিনি দারুণ চৌকষ। বিমান তৈরির বিষয়টি কিভাবে মাথায় এলো এ প্রশ্নের উত্তরে তরুণ উদ্ভাবক মির্জা ওয়াহিদ হোসেন বলেন, আকাশে ওড়ার স্বপ্ন থেকেই মূলত বিমান তৈরির বিষটি তার মাথায় আসে। ইন্টারনেটের মাধ্যেমে জ্ঞান আহরন তার এই এই স্বপ্নপূরণের পথকে সহজ করে। তিনি জানান, এ স্বপ্নপূরণের বিষয়টি বেশ ব্যয়বহুল। টিউশনির টাকা থেকে কিছু কিছু জমিয়ে তাকে এ বিমান তৈরির ব্যয় মিটাতে হয়েছে। একাজে তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের সবাই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বন্ধু-বান্ধবরাও দিয়ে উৎসাহ। মির্জা ওয়াহিদ হোসেন বলেন, এ ধরনের কাজের বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক সম্ভাবনা ও বাজার রয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে সীমান্ত এলাকা ও যুদ্ধক্ষেত্রে এখন ড্রোন ব্যবহার করা হয়। আমি যে ধরনের বিমান তৈরি করেছি একই পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরি করা সম্ভব, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারবে। তবে ব্যক্তিগত উদ্যেগে খুব বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

No comments:

Post a Comment

Infotech Post Bottom Ad New

Pages