নাসার সবচেয়ে বড় ঘোষণা আসে এ বছরের জুলাইতে, যে খানে তারা ঘোষণা দেন যে, তারা আমাদের এই সোলার সিস্টেমের বাইরে আমাদের পৃথিবীর মতই একই বৈশিষ্ট্যের আর একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন! যার নাম তারা দিয়েছেন কেপলার ৪২৫বি। সেই ঘোষণার রেশ কাটতে না কাটতেই তারা আবার এক চমক লাগানো ঘোষণা এক দিতে যাচ্ছেন, যাকে কেন্দ্র করে নাসার গবেষণা হয়তবা ভিন্ন দিকে মোড় নেবে। সভা শেষে তাঁরা একটি প্রেস কনফারেন্স করবেন, সেখানে জানা যাবে কি আসছে তাঁদের ঘোষণায়। প্রেস কনফারেন্সটি হবে ওয়াশংটনে নাসা হেডকোয়ার্টারের জেমস ওয়েব অডিটরিয়ামে, সময় আজ সকাল ১১.৩০ ই.ডি.টি (Eastern Daylight Time (EDT) is 4 hours behind Coordinated Universal Time (UTC). This time zone is a DST (daylight saving time) time zone and is used in: North America, Caribbean. This time zone is often called Eastern Daylight Time.) কী ঘোষণা দেবে তাঁরা আজ, তবে কি তারা মঙ্গল গ্রহে নতুন করে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান পেলেন? জানতে আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা।
এই প্রেস কনফারেন্সে থাকবেন নাসার বাঘা বাঘা সাইন্টিস্ট । এদের মধ্যে রয়েছন, নাসার প্লানেটরি সাইন্স বিভাগের ডিরেক্টর Jim Green এবং মঙ্গল অভিযান প্রগ্রামের শীর্ষ বিজ্ঞানী Michael Meyer ।
কেন এত ঘটা করে মঙ্গল গ্রহকে নিয়ে এই প্রেস কনফারেন্স? অনেকে নানা রকম অনুমান করা ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, মঙ্গল গ্রহে নতুন করে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এই বিষয়টি ঘোষণা দেবে। আবার অনেকে এটাও বলছেন, নাসা হয়ত আজ বলবে, রক্তিম এই গ্রহটিতে প্রবাহমান পানির সন্ধান পেয়েছেন, যা প্রানী কুলের জন্য অত্যাবশ্যক। আজকের গুরুত্ব বহন কারী এই সভায় আরও যারা থাকছেন, জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি, আটলান্টার বিজ্ঞানী Lujendra Ojha, যিনি বলেছিলেন, মঙ্গল গ্রহে উষ্ঞ মাসুগুলোতে কোন কোন এলাকায় লবনাক্ত পানির প্রবাহ থাকতে পারে। যদি নাসা আজ ঘোষনা দেয় যে, মঙ্গল গ্রহে পানির সন্ধান মিলেছে, তাহলে রক্তিম এই গ্রহটিকে নিয়ে আবার গবেষনা নতুন মাত্রা পাবে, কারন যেখানে পানি থাকবে সেখানে, অবশ্যই প্রাণী থাকবে যা হবে অভুতপূর্ব আবিস্কার। অবশ্য নাসার বিজ্ঞানীরা পুর্বে বলেছিল, অত্যধিক শীতল তাপমাত্রার কারনে মঙ্গল গ্রহে তরল পানি থাকাটা অসম্ভব।
No comments:
Post a Comment