শিম্পাঞ্জি:
আমার মতে বণ্য প্রাণিদের মধ্যে সবার আগে আছে শিম্পাঞ্জি। ওদের উন্নত বুদ্ধিমত্তা সবসময়েই মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। নিজেদের সমস্যা সমাধানে এরা বেশ পারদর্শী। এতটাই পারদর্শী যে, নিজেদের চলার মতো যন্ত্রপাতিও তৈরি করে ফেলতে পারে। আবার শিকারও করে দলবদ্ধভাবে। মানুষের সঙ্গে ইশারায় ভাবের বিনিময়ও করতে পারে শিম্পাঞ্জিরা। এর থেকেও চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে, কারও স্বাক্ষর দেখে মনে রাখতে পারে বেশ কয়েক বছর। কিন্তু শিম্পাঞ্জির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে- ওরা বিভিন্ন বস্তুর চিহ্ন মনে রাখতে পারে এবং চিহ্নগুলোকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে একটা জটিল পরিকল্পনাও দিতে পারে। এ সকল গুণ নিয়েই তারা বিভিন্ন গোষ্ঠী গঠন করে, যেখানে তারা গোষ্ঠীর সব নিয়ম মেনে খুব শক্ত সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ থাকে।
অন্য যেকোনো প্রাণীর চেয়ে ডলফিনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ অনেক বেশি। এর কারণ কী ? তারা পৃথিবীর প্রায় অন্য যেকোনো প্রাণীর চেয়ে বুদ্ধিমান। তারা সাগরে ঢেউ এর মাঝে ঘুরে বেড়ায়, ভেসে বেড়ায়, দল বেঁধে সাঁতার কাটে, খেলে, নিজেরা মজা করতে থাকে। তাদের নিজস্ব একটা ভাষাও রয়েছে, যেটা মানুষ ইদানীং একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছে। ওরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে। বিভিন্ন পরিবেশে, মানুষ প্রশিক্ষকদের নির্দেশনা বুঝতে পারে। পৃথিবীর অন্য সব বুদ্ধিমান প্রাণীদের মতো ডলফিনও অনেক বছর ধরে তার বাচ্চার সঙ্গে থাকে, তাকে শেখায় নানা কৌশল আর ডলফিনদের নিয়ম-কানুন।
ডাঙ্গায় বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাণীটি হচ্ছে হাতি। এরা যে কেবল বাইরে থেকে দেখতে বড় তা নয়, ওদের স্মৃতিশক্তিও ভালো বেশ। সত্যি কথা বলতে কী, ওরা বেশ ভদ্র ও কৌতূহলী প্রাণী। ওরা নিজেদের খাবার নিজেরাই পরিষ্কার করে এবং কিছু কিছু যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করতে পারে। ওরা মানুষের বিভিন্ন আদেশ পালন করতে পারে। প্রতিটি হাতি নিজেদের গ্রুপের অন্যান্য হাতিদের প্রতি বেশ সহানুভূতিশীল, যা কিনা তাদের বুদ্ধিমত্তার আদর্শ নিদর্শন।
শহরে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সম্ভবত এই পাখিটিকেই। ওদের বুদ্ধিমত্তার একটা মজার উদাহরণ প্রাণী বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছে। এটি শুনলে শুধু যে মজা পাবেন তাই নয়, বেশ অবাকও হবে। ওরা কিন্তু মানুষকে দিয়ে শক্ত খোসাবিশিষ্ট বাদাম ভাঙিয়ে নেয়। কী? অবাক হলেন? তাহলে শোনেন, কাকেরা গাছ থেকে বাদাম সংগ্রহ করে রাস্তায় গাড়ির সামনে রেখে দেয়, যেন বাদামের উপর দিয়ে গাড়ি গিয়ে খোসাটা ভেঙ্গে দেয়। এরপর গাড়িগুলো যখন লাল বাতি দেখে থেমে যায়, তখন তারা রাস্তা থেকে খোসা ছাড়ানো বাদাম সংগ্রহ করে নেয়!
আজ এ পর্যন্তই। যাওয়ার আগে একটি কথা, এই ব্লগে "যতনে রাখিব যন্ত্র" নামে কম্পিউটার সম্পর্কিত আমার একটি ধারাবাহিক প্রকাশনা রয়েছে। যা এখনও চলমান। এরইমধ্যে ৫ টি পর্ব প্রকাশিত হয়েছে। যেহেতু এটি ধারাবাহিক প্রকাশনা তাই এর আরও কয়েকটি পর্ব প্রকাশের কাজ চলমান। যারা এখনও পর্ব গুলো দেখেননি, তারা এই লিংকে ক্লিক করে দেখে আসুন।
No comments:
Post a Comment