কত বিচিত্রই না আমাদের এই ধরা ধাম। যে দিকে তাকাই সীমাহীন অপলক চোখ তার ব্যর্থতাকেই জানান দেয়। কী অপরিসীম আর অপার সৌন্দর্যে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। মানব মন পিপাসু সীমাহীন দৃষ্টি নিয়ে অন্তরীক্ষে তাকিয়ে থাকে আর বলতে থাকে এ বিশাল মহাবিশ্বে আমরা কী শুধুই একা ? আমাদের মত কোন গ্রহতে আছে কি কেউ! হ্যা বন্ধুরা সৃষ্টির সুচনা লগ্ন থেকে আজ অবধি নানান জিজ্ঞাসাই আজ আমাদের মানবসভ্যতাকে উন্নতির এ চরম শিখরে এনে দাড় করিয়ে দিয়েছে। নাশার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা সম্প্রতি তাদের লাইভ ভিডিও ফিডে এলিয়েনদের ব্যবহৃত মহাকাশ যানকে সুর্যের নিকটদিয়ে চলে যেতে দেখেছেন। তাহলে এলিয়েনরা কি আমাদের জানান দিতে শুরু করেছে যে, তোমরা মানুষ শুধুই একাই এমহাবিশ্বের চালিকা শক্তি নও! হ্যা সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা বলছেন বর্তমান সময়গুলোতে এলিয়েনরা ঘন ঘন তাদের উপস্থিতির প্রমান দিচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তাদের দৃশ্যমান হওয়াটা তাদের প্রকাশ হওয়া ব্যাপারটা আর প্রকট করে তুলছে। কী বলতে চাইছে তারা আমাদের মানব সভ্যতাকে? তারা কী আমাদের মানব সভ্যতার জ্ন্য মঙ্গলকর না ক্ষতিকর?
তারিখটা ২০১৫ সালের ১৫ ই জুলাই নাশার Solar and Heliospheric Observatory (SOHO) কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিও থেকে দেখা যায় যে, একটি বিশালাকার ইউএফও যান সুর্যের অতি নিকট দিয়ে উডে যাচ্ছে।
ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশ করে দেওয়া হয় এবং UFO Daily Sightings ওয়েব সাইটের সম্পাদক Scott C Waring -এর দাবী, সম্ভবতঃ বিশালাকার এই এলিয়েন যানটি জ্বালানী সংকটে পড়েছিল এবং সূর্যের নিকটবর্তী হয়ে তা জ্বালানী সংগ্রহ করছিল। ইউএফও বাদী Streetcap1 এই বলে নাশার সমালোচনা করেছেন-’’ এই বস্তুটির একটি নির্দিষ্ট বিশাল আকার রয়েছে, এবং নাশার এটিকে ‘কিছুই না’ বলে উড়িয়ে দেওয়াটা আসলে মানব জাতির বুদ্ধিমত্তাকে খাট করে দেখা ছাড়া আর কিছুই না “ Streetcap1 দাবী করে, ভিডিও ফুটেজটিতে দৃশ্যমান মহাকাশ যানটি অস্বাভাবিক রকমের বড়, এবং তা আকারের দিক দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Idaho অঙ্গরাজ্যের সমান। C Waring আর ও বলেন, ‘এই ইউএফও যানটি অদ্ভুৎ, আমি যতবারই নাশাকে এই ইউএফও নিয়ে টুইটারে জিজ্ঞস করেছি তারা আমাকে এড়িয়ে গেছে। তারা কখনই আমার কথার উত্তর দেননি, বরং আমাদের সূর্যের নিকটবর্তী স্থানে দৃশ্যমান হওয়া এই বিশাল যানটি সম্পর্কে কথা বলতে বরাবরই অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই যানটিকে দেখে মাঝেমাঝে চন্দ্রাকৃতির মনে হয়েছে। এটি আকারে অনেকটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Idaho রাজ্যের সমান অায়তনের তবু ও যদি নাশার বোধদয় হয়! C Waring এই বলে আরও সতর্ক করে দিয়েছে যে, এলিয়েনরা আমাদের সুর্যের নিকটবর্তী স্থানে বিশালাকার এই সকল যান প্রেরন করছেন আমাদের সোলার এনার্জি শুষে নেওয়ার জন্য। এভাবে আমরা যদি আমাদের সৌরশক্তিকে অন্যের সাথে শেয়ার করে ব্যবহার করতে থাকি তাহলে তা ৫ বিলিয়ন বছরের বেশি স্থায়ী হবেনা অর্থাৎ সুর্য়ের শক্তি নিশ্বেষ হলে তা হবে আমাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংস বার্তা। তাই আমাদের জানা উচিৎ এলিযেনদের আসল উদ্দেশ্য কি? তারা কি তাদের জ্বালানী শক্তির প্রযোজন মেটাতে আমাদের সৌরজগতের প্রানকেন্দ্র সুর্যকে ব্যবহার করছে? এটি যদি সত্য হয় তবে আমাদের জন্য তা অশনি সংকেত। সুর্য় তার তার তাপ শক্তি হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়বে। আমাদের এই সুন্দর ধরনী হয়ে পড়বে প্রানহীন। আর তাই হয়ত নাশার বিজ্ঞানীরা অন্য কোন গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব খুজে বেড়াচ্ছেন। আর কিছু দিন পরে হয়তবা আমাদের বলতে হবে, ”হেথা হোথা নয়, অন্য কোথা; অন্য কোনখানে”। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আমাদের পৃথিবীর জমজ ভােই কেপলার৪৫২বি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। কে জানে ভবিষ্যতে ইতিহাস কীভাবে রচিত হতে চলেছে! আপনাদের জন্য রইল সেই ইউএফও মহাকাশযানটির একটি ইউটিউব ভিডিও-
ইনফোটেকলাইফ.কম এর তালিকা ভুক্ত একজন লেখক ও কলামিস্ট। তাঁর লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্টস করে দয়া করে আমাদের উৎসাহিত করবেন। এই ওয়েবসাইটের কোন লেখকের বিরুদ্ধে তাঁর লেখা নিয়ে আপনার কোন অভিযোগ থাকলে আপনি আমাদের অভিযোগ ডেস্ক-এ অভিযোগ করতে পারেন। ইনফোটেকলাইফ.কম কোন লেখকের বিতর্কিত লেখার দায়ভার বহন করেনা। তবে আপনার করা অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে উক্ত লেখককে অস্থায়ী কিংবা গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ইনফোটেকলাইফ.কম এর সাথে যুক্ত থাকতে নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Join,Like ও Follow করুন।
আমি মোঃ আজাদ মিয়া। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও প্রশিক্ষক (ইংরেজী)। শিক্ষা বিষয়ক লেখালেখির পাশা-পাশি ফেসবুকে আমাদের একটি Group আছে যার নাম শিক্ষক কণ্ঠস্বর। যাতে আমি নিয়মিত শিক্ষা বিষয়ক পোস্টগুলো শেয়ার করে থাকি। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
ফেসবুক । টুইটার । ইনস্টাগ্রাম। গুগল+ । ইউটিউব
C.E.O & Admin
আমি মোঃ গুলজার হুসাইন। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও প্রশিক্ষক (ইংরেজী)। ব্লগিং ও ইউটিউবিং আমার নেশা ও পেশা। এই দু’টো ছাড়া একটি মুহুর্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনা। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
আমি মোঃ রিয়াজ হোসেন। পেশায় একজন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক ও অনলাইন রাইটার(প্রযুক্তি)। ব্লগিং ও সোসাল মিডিয়া (ফেসবুক) এনালাইজ আমার নেশা ও পেশা। এই দু’টো ছাড়া একটি মুহুর্ত আমি কল্পনাও করতে পারিনা। ইনফোটেকলাইফ আপনাদের ব্লগ। আপনাদের ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
No comments:
Post a Comment